Saturday, 17 October 2015

১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সমস্ত জীবের ধর্ম-অধর্মের বিচারক যমরাজ। তিনি সূর্যদেবের পুত্র। তিনি নরলোকের অধিপতি। পৃথিবী থেকে ৭ লক্ষ ৯২ হাজার মাইল নিচে নরক নামক গ্রহলোক অবস্হিত। নরক গ্রহের সংযমনী নামক যমপুরী রয়েছে। যমরাজের প্রধান হিসাবরক্ষকের নাম চিত্রগুপ্ত। মাত্র কয়েক মিনিটের মাধ্যেই যমরাজের দূতেরা পৃথিবীতে ত্যক্তদেহ পাপাত্মাদের যমপুরীতে টেনে নিয়ে যা্য়।

রাধেশ্যাম
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

যিনি সুদৃঢ় বিশ্বাসে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধাবান, তিনিই কেবল কৃষ্ণভাবনামৃতের এই জ্ঞান লাভ করতে পারেন। শ্রদ্ধাবান তাঁকেই বলা হয় যিনি বিশ্বাস করেন যে, কৃষ্ণভক্তি সাধন করলে সমস্ত কর্ম সুসম্পন্ন হয়। ভগবদভক্তি সাধন করলে জীবনের পরমার্থ সাধিত হয়। সুদৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে ভগবানের সেবা সম্পাদনে এবং হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে / হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে - এই মহামন্ত্র কীর্তন করার ফলে অন্তর সব রকমের জড় কলুষ থেকে মুক্ত হয় এবং তখন হৃদয়ে এই শ্রদ্ধার উদয় হয়।

রাধেশ্যাম
৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ , বুধবার শ্রীশ্রী অন্নদাএকাদশীর উপবাস।
পারণ পূর্বাহ ০৫.৪২ মিঃ হতে ০৬.০৭ মিঃ পর্যন্ত।
অন্নদা একাদশী সম্পর্কে কিছু কথাঃ- 
ভাদ্রের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশীকে বলা হয় ‘অন্নদা’। এই তিথি সর্বপাপ বিনাশিনী । যিনি শ্রীহরির অর্চনে এই ব্রত পালন করেন, তিনি সর্বপাপ মুক্ত হন। এমনকি এই ব্রতের নাম শ্রবনেই রাশি রাশি পাপ বিদূরিত হয়ে যায়।

রাধেশ্যাম
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মহাজন উপদেশঃ-
শ্রী নারদ মুনি বললেন, শুকদেব গোস্বামীকে
হে বৎস, পূর্বকালে মহর্ষিগণ শ্রীসনৎকুমারের কাছে তত্ত্বকথা জিজ্ঞাসা করাতে তিনি বলেছিলেন, দুর্লভ মনুষ্য জন্ম লাভ করে কারও সঙ্গে শত্রুতা আচরণ করা বিধেয় নয়। যাঁরা অনাসক্তভাবে বিষয় ভোগ করেন, তাঁরাই অচিরে শ্রেয়ো লাভে সমর্থ হন। যাঁকে আশ্রয় করলে কি ইহলোকে, কি পরোলোকে কোথাও শোক বা ভয়ের লেশমাত্র থাকে না, সেই শ্রীহরির পাদপদ্ম আশ্রয় করো। এই জড়জগতে যাদের লোভ নেই, তাদের শোকও নেই।

রাধেশ্যাম
৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

শ্রীকৃষ্ণের শুভ আর্বিভার তিথি উপলক্ষে সকল গৌর ভক্ত বৃন্দের প্রতি আমার শুভেচ্ছা রইল।
মহাজন উপদেশঃ-
শ্রী শিব বললেন, হে নারদ তুমি প্রকৃতির অতীত রাধানাথ শ্রীকৃষ্ণকে ভজনা করো। জগতে যে ব্যক্তি শ্রীকৃষ্ণভক্তি অনুশীলন শিক্ষা না দিয়ে অন্য পথ প্রদর্শন করেন, তিনি কখনই গুরু নন। তাঁকে পারমার্থিক গুরুরুপে কখনই গ্রহণ করা উচিত নয়, অধিকন্ত্ত তাঁকে মহা শত্রু বলে মনে করা কর্তব্য ।

রাধেশ্যাম
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মহাজন উপদেশঃ-
শ্রীশিব বললেন, হে নারদ, ‍পূর্বে কৃষ্ণের আলয় গোলকে বিরজাতীরে ক্ষীরের মতো অমল জলে আমি শ্রীকৃষ্ণ মন্ত্র জপ করেছি। নিত্য আমি কৃষ্ণমন্ত্র জপ করি। পার্বতী, কার্তিক, গণেশ সবসময়ই কৃষ্ণনাম কীর্তন করে থাকে। হে নারদ, লোকে দুর্দিনের অভিজ্ঞতার কথা বলে ও স্মরণ করে।মেঘে আচ্ছন্ন অন্ধকার দিনকে আমি দুর্দিন বলি না। যেইদিন কৃষ্ণকথা হয় না, আমি সেই দিনকে দুর্দিন বলে থাকি।

রাধেশ্যাম
৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মহাজন উপদেশঃ-
যার বুদ্ধি পূর্বজন্মকৃত কর্মদোষে মন্দ হয়েছে এবং অনুপযুক্ত ব্যক্তিকে গুরুরুপে গ্রহণ করেছে, তারা তমোগুণের অধীন হয়ে থাকে। তার ফলে তারা ত্রিগুণের অতীত ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে জানতে পারে না, এমনকি জানতেও আগ্রহ থাকে না। সংসারের সেই সব লোক তাই কৃষ্ণভজন করবে না।


রাধেশ্যাম
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

কলিযুগে মানুষ ধর্মের অমৃত বা্ক্য ভুলে গিয়ে আজ পরিত্রাণহীন অন্ধকারের দিকে ধেয়ে চলেছে। অর্থবিত্ত আর লোভের তুচ্ছ মোহে আবদ্ধ হয়ে মানুষ সত্য সুন্দর পথ খুঁজে পাচ্ছে না। এই দুঃখ মমতাকে অতিক্রম করে পরিত্রাণ পেতে হলে আমাদেরকে প্রেমময় রাধা-গোবিন্দের পূন্য পথের দিকে যাত্রা করতে হবে।

রাধেশ্যাম
২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

শ্রীকৃষ্ণ ভক্তির ধন প্রেমের সম্পদ।
তাঁহারে ভজিলে আর না থাকে বিপদ।।
শ্রীকৃষ্ণ আনন্দ ধন হৃদয়ের বাণী।
যে জনা ভজয়ে কৃষ্ণ সে জন ধনী।।
শ্রীকৃষ্ণ যেথায় আছে সেথায় মন ধায়।
ত্রিবিদ সংসার চলে কৃষ্ণ কৃপায়।।
শ্রীকৃষ্ণ পরম শ্রেষ্ঠ গৌরবের ধন।
শ্রীকৃষ্ণ হৃদয় বৃত্ত সাধের সাধন।।
শ্রীকৃষ্ণ প্রেমের সিন্ধু তরঙ্গ বিশাল।
শ্রীকৃষ্ণ জগৎ জীবের আশ্রয় সবার।।

রাধেশ্যাম
১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মহাজন উপদেশঃ-
কলিযুগ হচ্ছে এক দোষের সমুদ্র, তবুও, একটি মহান গুণ আছে। তা হচ্ছে এই যে, শুধুমাত্র শ্রীকৃষ্ণ নাম সংকীর্তন করে মানুষ জড় দুঃখময় বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে পরম ভগবদ্ ধামে উন্নীত হবে। সত্যযগে শ্রীবিষ্ণুর ধ্যান করে, ত্রেতাযুগে যজ্ঞ অনুষ্ঠান করে, দ্বাপর যুগে ভগবদ্ বিগ্রহ অর্চনা করে যে ফল লাভ হয়, কলিযুগে শুধুমাত্র শ্রীহরির নামকীর্তন করেই সেই সমস্ত ফল লাভ হয়ে থাকে।
হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ কৃষ্ণকৃষ্ণ হরেহরে ।
হরেরাম হরেরাম রামরাম হরেহেরে।।


রাধেশ্যাম
৩১ আগষ্ট ২০১৫

মহাজন উপদেশঃ-
মৃত্যুপথযাত্রী ভয়গ্রস্ত মানুষ বিছানায় পড়ে থাকে, সেই সমযেও যদি সে ভগবান শ্রীহরির পবিত্র নাম উচ্চারণ করে, তা হলেও সকাম কর্মের বন্ধন মুক্ত হয়ে সে পরমগতি লাভ করতে পারে, কিন্তু তা সত্ত্বেও কলিযুগের অধঃপতিত মানুষ হরিনামকীর্তন করবে না। শ্রীহরির স্মরণ করবে না। কেউ যদি শ্রী কৃষ্ণ কথা শ্রবণ করে, কীর্তন করে, স্মরণ করে, শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করে, শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে, তা হলে তার সহস্র জন্মের অর্জিত কলুষ বিনষ্ট হয়ে যায়।


রাধেশ্যাম
৩০ আগষ্ট ২০১৫

ব্রজ রাজকুমার ( ৫২৪১ তম শুভ আর্বিভাব )
নন্দীশ্বর যাঁর ধাম যশোদা নন্দন নাম ।
আর্বিভূত হইলেন প্রভু কৃষ্ণ ভগবান ।।
সাধুর রক্ষার্থে দুষ্টের বিনাশে ।
যুগে, যুগে আসেন প্রভু এ ধরাধামে ।।
যশোদা নয়ন মনি নন্দ রাজ কুমার ।
ব্রজ বাসীর প্রণনাথ কৃষ্ণ গোপাল ।।
অনন্ত ব্রহ্মান্ড পতি হে আদিদেব ।
তব শ্রীচরণে মোর প্রণতি অনেক ।।
সকল জীবের প্রভু তুমি পরম সত্য ।
অভয় চরণ স্মরণে হয় মহা ভাগ্য ।।
তাই বলি প্রভু এবার কৃপা কর মোরে ।
নিজ জন করে রাখেএ দাসেরে ।।

রাধেশ্যাম
২৮ আগষ্ট ২০১৫

শ্রী নারদমুনির উক্তিঃ-
মানুষ আসক্ত ও মোহগ্র্স্ত হয়ে স্নেহ জালে বদ্ধ হয়ে লাভ করছে দুঃখকষ্ট। ন্ত্রী, পারিবার, শরীর, সঞ্চিত ধন সম্পত্তি- কিছুিই পরলোকে তার সহগামী হয় না। কেবলমাত্র সহচর হয়ে থাকে পুণ্য ও পাপ। অর্থাৎ তোমার কর্মফল।
অতএব হে শুকদেব, মনুষ্য জীবনে দৈনন্দিন কর্মসমূহ এমনভাবে সম্পাদিত হওয়া কর্তব্য যাতে কর্মফলাবদ্ধ অনর্থ লাভ না হয়ে পনমার্থ লাভ হয়।

রাধেশ্যাম
২৭ আগষ্ট ২০১৫

জ্ঞান আহরণ করবার শ্রেষ্ঠ উপায় শ্রবণ, তাই প্রকৃত ব্রক্ষচারী সর্বক্ষণ হরের্নামানুকীর্তনম্ অর্থাৎ, ভগবানের মহিমা শ্রবণ ও কীর্তনে তন্ময় হয়ে থাকেন। তিনি কখনও লৌকিক আলোচনা বা গ্রাম্য কথা শ্রবণ করেন না। জড় জগতের যে শব্দ, সেই শব্দ মনকে জড় বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখে- মনকে জড় অভিমুখী করে তোলে। তাই ব্রক্ষচারী কখনও সেই রকম শব্দে কর্ণপাত না করে সর্বক্ষণ ভগবানের দিব্যনাম শ্রবণ ও কীর্তন করেন-
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।

রাধেশ্যাম
২৬ আগষ্ট ২০১৫

যাঁরা প্রকৃতই জ্ঞানী, যাঁরা ভগবানের ভক্ত, তাঁরা ভগবানকে তুষ্ট করার জন্য তাঁদের সব কিছুই ভগবানের শ্রী চরণে অর্পণ করেন।

রাধেশ্যাম
২৫ আগষ্ট ২০১৫

৮ ভাদ্র , বুধবার শ্রীশ্রী পবিত্রারোপণী একাদশীর উপবাস।
পারণ পূর্বাহ ০৫.৩৮ মিঃ হতে ০৯.৫২ মিঃ পর্যন্ত।
পবিত্ররোপণীএকাদশী সম্পর্কে কিছু কথাঃ- 
পিবিত্ররোপণী একাদশী ব্রত পালনে পারব্ধ পাপ দূর হয় এবং এই ব্রত পালনে অভিষ্ট ফল প্রদান করে। আপনারা যথাবিধি তা সকলে পালন করুন।

রাধশ্যাম
২০ আগষ্ট ২০১৫

ব্রহ্মা বললেন, যদি কোনও ব্যক্তি ভক্তি সহকারে শ্রীহরির আরাধনা করেন, তবে সেই ব্যাক্তির তীর্থ ভ্রমণ, তপস্যার প্রয়োজন নেই। ভতরবর্ষে কৃষ্ণমন্ত্র-উপাসক জীবন্মুক্ত ব্যক্তির পক্ষে তপস্যার প্রয়োজন হয় না। হে নারদ, শ্রীকৃষ্ণনামমন্ত্র গ্রহণ মাত্রেই তাঁর বংশের শত পুরুষ ও বন্ধুবান্ধবেরাও অনায়াসে পবিত্র হয়। শ্রীকৃষ্ণসেবা থেকে অন্য কোন ধর্ম বড় নয়, অন্য কোন তপস্যা শ্রেয় নয়।

রাধেশ্যাম
১৯ আগষ্ট ২০১৫

যে ব্যক্তি প্রতিদিন শ্রীকৃষ্ণ পূজা করে এবং শ্রীকৃষ্ণচরণামৃত ও মহাপ্রসাদ গ্রহণ করে, সেই মহা পবিত্র। হে নারদ, কৃষ্ণভক্ত যে বংশে জন্মগ্রহণ করে সেই বংশ পবিত্র হয়। জগতে যে ব্যক্তি কৃষ্ণভজনা করে না, তার তপস্যা, তার কর্মপ্রচেষ্টা তার পরিশ্রম বৃথা।

রাধেশ্যাম
১৮ আগষ্ট ২০১৫

“মানুষ মারা গেলে তার এই জগতের সমস্ত সম্পদ তাকে পারিত্যাগ করে। অতএব যে যে সম্পদ মৃত্যুতে হারিয়ে যাবে, সেই সেই সম্পদ শ্রীহরির প্রসন্নবিধানের উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা উচিত।”

রাধেশ্যাম

Monday, 17 August 2015

১৫ আগষ্ট ২০১৫

যদি কোন ব্যক্তি ভক্তি সহকারে শ্রীহরির আরাধনা করেন, তবে সেই ব্যক্তির তীর্থভ্রমণ, তপস্যার প্রয়োজন নেই। ভারতবর্ষে কৃষ্ণ মন্ত্র-উপাসক জীবন্মুক্ত ব্যক্তির পক্ষে তপস্যার প্রয়োজন হয় না। হে নারদ, শ্রীকৃষ্ণনামমন্ত্র গ্রহণ মাত্রই তাঁর বংশের শত পুরুষ ও বন্ধুবান্ধবেরাও অনায়াসে পবিত্র হয়। শ্রীকৃষ্ণসেবা পরায়ণ ব্যক্তিদের তপস্যার পবিশ্রম অনাবশ্যক। হে পুত্র, শ্রীকৃষ্ণমন্ত্রে ব্রতী ব্যক্তিই মহাপবিত্র।

রাধেশ্যাম
১৪ আগষ্ট ২০১৫

যমরাজ বললেন- দ্বাদশ মহাজন প্রকৃত ধর্মের তত্ত্ব জানেন। প্রকৃত ধর্ম ভাগবত-ধর্ম বা ভগবৎ প্রেম ধর্ম নামে পরিচিত। তা অত্যন্ত গোপন তত্ত্ব যা সাধারণ মানুষের দূর্বোধ্য। কিন্তু ‍কেউ যদি ভাগ্যক্রমে তা হৃদয়ঙ্গম করতে পারে তবে সে সচ্চিদানন্দময় জীবন লাভ কররে।

রাধেশ্যাম
১১ আগষ্ট ২০১৫

চিত্র গুপ্ত পুত্যেকের পাপকর্মের কথা বলতে থাকেন। মাঝে মাঝে পাপীরা অভিযোগ করে - “আমি এত পাপ করেছি কি করে বলছেন?” তখন যমরাজের আহ্বানে সূর্য, চন্দ্র, বায়ু, আকাশ, পৃথিবী, জল, তিথি, দিবা, রাত্রি, ঊষা, সন্ধ্যা, ধর্ম - ইত্যাদি বহু সাক্ষী এসে পাপীদের পাপ কর্মের কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

রাধেশ্যাম
১০ আগষ্ট ২০১৫

যিনি তুলসীকে প্রত্যহ দর্শন করেন তার সকল পাপরাশি বিদুরিত হয়ে যায়, ‍যিনি তাঁকে স্পর্শ করেন তার পাপমলিন দেহ পবিত্র হয়, তাঁকে প্রণাম করলে সমস্ত রোগ দূর হয়, তাঁকে জল সিঞ্চন করলে যমও তার কাছে আসতে ভয় পান। শ্রীহরিচরণে তুলসী অর্পিত হলে ভগবদ্ভক্তি লাভ হয়। তাই হে কৃষ্ণভক্তি প্রদায়িনী তোমায় প্রণাম করি।
যে ব্যক্তি হরিবাসরে ভগবানের সামনে দীপদান করেন চিত্রগুপ্তও তাঁর পুণ্যের সংখ্যা হিসার কতে পারে না। তার পিতৃপুরুষেরাও পরম তৃপ্তি লাভ করেন।

রাধেশ্যাম
০৮ আগষ্ট ২০১৫

১০ আগষ্ট , ২৪ শ্রাবণ , সোমবার শ্রীশ্রী কামিকা একাদশীর উপবাস।
পারণ পূর্বাহ ০৫.৩২ মিঃ হতে ০৯.৫৩ মিঃ পর্যন্ত।
কামিকা একাদশী সম্পর্কে কিছু কথাঃ- ভগবান শ্রীহরির পূজা-অর্চনা অপরিমিত পূর্ণ ফল প্রদান করে। এরকম পবিত্র পাপনাশক শ্রেষ্ঠ ব্রত আর জগতে নেই। শ্রীহরি স্বয়ং এই মাহাত্ম্য কীর্তন করেছেন। রাত্রি জাগরণ করে য়ারা এই ব্রত পালন কারেন তারা কখনত্ত দুঃখ-দুর্দশাগ্রস্ত হন না। এই ব্রত পালনকারী কখনও নিম্নযোনি প্রাপ্ত হন না।
কেশবপ্রিয়া তুলসীপত্রে যিনি শ্রীহরির পূজা করেন পদ্মপাতায় জলের মতো তিনি পাপে নির্লিপ্ত থাকেন। তুলসীপত্র দিয়ে বিষ্ণুপূজায় ভগবান যেমন সন্তুষ্ট হন, মণিমুক্তাদি মূল্যবান রত্ন মাধ্যমেও তেমন প্রীত হন না। ‍যিনি কেশবকে তুলসীমঞ্জরী দিয়ে পূজা করেন তার জন্মার্জিত সমস্ত পাপক্ষয় হয়ে যায়।

রাধেশ্যাম
৪ আগষ্ট

কেউ যদি আত্ন উপলব্ধির বিকাশ সাধনে যথার্থ বুদ্ধিমান হন এবং ভক্তি যোগ সাধনে ঐকান্তিক আগ্রহী হন তা হলে ভগবান তাকে সুযোগ প্রদান করেন। যার ফলে তিনি তাঁর কাছে ফিরে যেতে পারেন।

রাধেশ্যাম
৩ আগষ্ট ২০১৫

একটি সোনার আংটিতে যখন হীরে বসানো হয় তখন সেটি দেখতে অতি সুন্দর লাগে। একত্রিত হবার ফলে সোনা ও হীরে উভয়েরই শোভা বর্ধিত হয়। ভগবান ও জীব নিত্যকাল প্রভাযুক্ত। জীব যখন ভগবৎ সেবায় উন্মুখ হয়, তখন সে সোনার মত উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ভগবান হচ্ছেন হীরে এবং তাই এই দুইয়ের সমন্বয় অত্যন্ত সুন্দর। শুদ্ধ অন্তকরন বিশিষ্ঠ জীবকে বলা হয় ভক্ত। পরমেশ্বর ভগবানও আবার তাঁর ভক্তের ভক্ত হয়ে যান।

রাধেশ্যাম
২ আগষ্ট ২০১৫

মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত ভগবানের শ্রীমূর্তি হচ্ছেন ভগবানের অনুমোদিত প্রতিনিধি, যাঁকে বলা হয় অর্চাবিগ্রহ। এই অর্চাবিগ্রহ হচ্ছেন ভগবানের অবতার। ভগবান সেই রূপের মাধ্যমে সেবা গ্রহন করেন। ভগবান সর্ব শক্তিমান, তাই তিনি তার অর্চাবিগ্রহ রূপ অবতারের মাধ্যমে তার ভক্তের সেবা গ্রহন করতে পারেন। জড় জগতের বন্ধনে অবদ্ধ মানুষেদের সুবিধার জন্য তিনি এই বন্দোবস্ত করে রেখেছেন।

রাধেশ্যাম
১ আগষ্ট ২০১৫

জীবের স্বরূপ হয়- কৃষ্ণের নিত্যদাস। তাই কৃষ্ণভবনায় ভবিত হয়ে ভগবানের সেবা করাই প্রতিটি জীবের পরম কর্তব্য। সমগ্র ভগবদ্ গীতায় ভগবান আমাদের এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষাই দান করেছেন।

রাধেশ্যাম
৩০ জুলাই

ব্রহ্মান্ডে বিভিন্ন গ্রহে অসংথ্য জীব ভ্রমন করে বেড়াচ্ছে। তাদের মধ্যে কোন ভাগ্যবান জীব শ্রদ্ধ ভক্তের সংস্পর্শে আশার ফলে ভগবদ্ভক্তির নিগূঢ় রেহস্যের কথা অবগত হতে সক্ষম হন। এই ভগবদ্ভক্তি ঠিক একটি বীজের মতো এবং তা যদি জীবের হৃদয়ে বপন করা হয় এবং হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে এই মহামন্ত্র শ্রবণ ও কীর্তনরুপ জল সিঞ্চন করা হয় তা হলে সেই বীজ অঙ্কুরিত হয়।

রাধশ্যাম
২৯ জুলাই ২০১৫

অসৎ কর্মে লিপ্ত মানুষেরা কখনই ভক্ত হতে পারে না। যে । ভগবানের ভক্ত নয়, তার কোনই সদ্ গুন নেই। প্রশ্ন হতে পারে যে, তা হলে স্বেচ্ছায় অথবা দুর্ঘটনা ক্রমে পাপকর্মে প্রবৃতি মানুষ কিভাবে শুদ্ধ ভক্ত হতে পারে? যে দুষ্কৃতকারী সর্বদাই ভগতদ্ভতি থেকে বিমুখ থাকে তার কোনই সদ্ গুন নেই। নবধা ভক্তি আচরণকারী ভক্ত সমস্ত জাগতিক কলুষ থেকে হৃদয়কে নির্মল করতে প্রবৃ্ত্ত থাকেন।

রাধেশ্যাম
২৮ জুলাই ২০১৫

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছে বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সমস্ত গ্রহলোকের মহেশ্বর এবং তা সকলের জানা উচিত। সৃষ্টির পূর্বে ও তিনি ছিলেন এবং তিনি তাঁর সৃষ্টি থেকে ভিন্নি। দেব-দেবীরা সকলেই এই জড় জগতে সৃষ্ট হয়েছেন, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ এই সমস্ত সৃষ্টির উর্দ্ধে।

রাধেশ্যাম
২৭ জুলাই ২০১৫

একাদশীতে উপবাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। তবে কেবল অনাহারে উপবাস করাটাই মূখ্য উদ্দেশ্য নয়, মূখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে গোবিন্দ বা শ্রীকৃষ্ণের প্রতি অধিক শ্রাদ্ধা ও প্রেমপরায়ণ হওয়া।

রাধেশ্যাম

Friday, 24 July 2015

২৪ জুলাই ২০১৫

শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা অবগত হয়ে যে মানুষ কৃষ্ণভাবনাময় কর্ম করছেন, তিনি সর্বদাই মুক্ত। তাই তাঁকে মৃত্যুর পরে তাঁর কর্মফল-স্বরূপ সুখ বা দুঃখ কিছুই ভোগ করতে হয় না।

রাধেশ্যাম

Thursday, 23 July 2015

২৩ জুলাই ২০১৫

২৭ জুলাই , ১০ শ্রাবণ , সোমবার শ্রীশ্রী শয়ন একাদশীর উপবাস।
পারণ পূর্বাহ ০৬.২৬ মিঃ হতে ০৯.৫১ মিঃ পর্যন্ত।
শয়ন একাদশী সম্পর্কে কিছু কথাঃ- 
শ্রী ব্রহ্মা বললেন- হে নারদ ! এ সংসারে একাদশীর মতো পবিত্র আর কোন ব্রত নেই। সকল পাপ বিনাশের জন্য এই বিষ্ণুব্রত পালন করা একান্ত আবশ্যক। যে ব্যক্তি এই প্রকার পবিত্র পাপনাশক এবং সকল অভিষ্ট প্রদাতা একাদশী ব্রত না করে তাকে নরকগামী হতে হয়। সুখ ও মাক্তি প্রদান কারী এই উত্তম ব্রত পালন করা সকলেরই অবশ্য কর্তব্য।

রাধেশ্যাম

Wednesday, 22 July 2015

২২ জুলাই ২০১৫

শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ‍যিনি প্রগাঢ় ভাবে প্রেম পরায়ণ, তিনি কোন রকম জাগতিক অসুবিধে, অভাব, বিঘ্ন ও দুঃখ আদির দ্বারা প্রভাবিত হন না। যথাথই যিনি কৃষ্ণপ্রেমিক, নানা বাধা-বিপত্তি সত্বেত্ত তিনি কখনও তাঁর সেবা থেকে বিচ্যুত হন না।

রাধেশ্যাম
২১ জুলাই ২০১৫

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছে, বিশ্বব্রহ্মান্ডের সমস্ত গ্রহলোকের মহেশ্বর এবং তা সকলের জানা উচিত। সৃষ্টির পূর্বেওে তিনি ছিলেন এবং তিনি তাঁর সৃষ্টি থেকে ভিন্ন। দেব-দেবীরা সকলেই এই জড় জগতের সৃষ্ট হয়েছেন, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ এই সমস্ত সৃষ্টির উর্ধ্বে, তিনি কখনও সৃষ্ট হন না; তাই তিনি ব্রাহ্মা, শিব আদি মহান দেবতাদের থেকেও ভিন্ন। আর যেহেতু তিনি ব্রহ্মা, শিব ও অন্যান্য সমস্ত দেব-দেবীর সৃষ্টিকর্তা, তাই তিনি সমস্ত গ্রহলোকেরও পরম পুরুষ।

রাধেশ্যাম
২০ জুলাই ২০১৫

কৃষ্ণচেতনার উপলব্ধি যিনি লাভ করেছেন, তার তীবন সার্থক। ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে যারা যানে না, তারা মায়াবদ্ধ। শ্রীকৃষ্ণ সম্বন্ধে অবগত হত্তয়াই হচ্ছে মুক্তি, আর তার সম্বন্ধে অজ্ঞ থাকায় হচ্ছে বন্ধন। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে, তিনিই সমস্ত বুদ্ধির উৎস। মানুষের বুদ্ধির বিকাশ না হলে সে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে জানতে পারে না।

রাধেশ্যাম

Saturday, 18 July 2015

১৮ জুলাই ২০১৫

শুদ্ধ ভক্ত কেবল পরমেশ্বর ভগবানের সেবাকেই অঙ্গীকার করে। কৃষ্ণ-বিষয়ক একটি অতি মধুর কবিতিাতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, শ্রীকৃষ্ণ ব্যতীত অন্যান্য দেব-দেবীর পূজায় নিয়োজিত ব্যাক্তিগণ মূঢ়্ এবং তারা কখনই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পরম কৃপা লাভ করতে পারে না। পরমেশ্বব ভগবানের শুদ্ধ ভক্তের কখনও পতনের সম্ভাবনা থাকে না। কারণ, পরম পুরুষোত্তম ভগবান স্বয়ং তাঁর শুদ্ধ ভক্তের সকল দয়িত্ব গ্রহণ করেন।

রাধেশ্যাম
১৭ জুলাই ২০১৫

১৮ জুলাই শনিবার শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্র উৎসব।
জড় স্থূল ইন্দ্রিয়ের দ্বারা কখনেই শ্রীকৃষ্ণকে জানতে পাড়া যায় না ভক্তের ভক্তিতে প্রসন্ন হলে শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং তাঁর কাছে নিজেকে প্রকাশিত করেন।
শ্রীজগন্নথদেবের রথযাত্রা এক বিশেষ মহোৎসব। এ উৎসবে শ্রীজগন্নাথদেব সবাইকে অকাতরে তাঁর কৃপা দান করেন। তাদের এ রথযাত্রার পথে যারাই রথ টানবেন, তারা সকলেই তাঁর আশীর্বাদ প্রাপ্ত হবেন।

ভক্ত পদরজ প্রার্থী প্রদীপ কৃষ্ণ দাস।

রাধেশ্যাম
১৬ জুলাই ২০১৫

বৈদিক শাস্ত্রসমূহ থেকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা শ্রবণ করলে অথবা ভগবদ্ গীতা থেকে ভগবানের শ্রীমুখ-নিঃসৃত বাণী শ্রবণ করলে কল্যাণ হয়। কেউ যখন কৃষ্ণ কথা শ্রবণ করেন, ‍তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, ‍যিনি সকলের অন্তরে বিরাজমান, ‍তিনি পরম বন্ধুর মতো তাঁর হৃদয়কে সমস্ত কলুষ থেকে মুক্ত করেন।

রাধেশ্যাম
১৫ জুলাই ২০১৫

"‍‌‌‌‌‍‍হে ভগবান ! চন্ডালকুলে জন্মগ্রহণ করেও যদি কেউ তোমার অপ্রাকৃত নাম কীর্তন করেন, তবে বুঝতে হবে যে, তিনি পারমার্থিক জীবনে অত্যন্ত উন্নত। যিনি ভগবানের নাম করেন, তিনি নি:সন্দেহে ইতিপূর্বেই সব রকমের তপশ্চর্যা, যাগ-যজ্ঞ, তীর্থস্থান ও শাস্ত্র অধ্যয়ন সমাপ্ত করেছেন।"

রাধেশ্যাম
১২ জুলাই ২০১৫

আজ একাদশী তিথি। একাদশী তিথি সকলের অভিষ্ট প্রদানকারী। এই ব্রত পালনে সমস্ত প্রকার পাপ বিনষ্ট , সর্বসৌভাগ্য ত্ত শ্রীকৃষ্ণের প্রীতি বিধান হয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আট থেকে আশি বছর বয়স পর্যন্ত যেকোন ব্যাক্তিরই ভক্তিসহকারে পবিত্র একাদশী ব্রত পালন করা কর্তব্য। 
দুর্লভ মানব জীবন লাভ করেত্ত এই ব্রত অনুষ্টান না করলে বগু দুঃখে-কষ্টে চুরাশি লক্ষ যোনি ভ্রমণ করতে হয়। অহংকার বশত একাদশী ব্রত ত্যাগ করলে অশেষ যমযন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। যে ব্যাক্তি এই ব্রতকে তুচ্ছ জ্ঞান করে , জীবিত হয়েত্ত সে মৃতের সমান।


রাধেশ্যাম
১১ জুলাই ২০১৫

১২ জুলাই , ২৬ আষাঢ় , রবিবার শ্রীশ্রী পরমা একাদশীর উপবাস।
পারণ পূর্বাহ ০৫.১৯ মিঃ হতে ০৭.৫৮ মিঃ পর্যন্ত।
পরমা একাদশী সম্পর্কে কিছু কথাঃ- (( পরবর্তী অংশ ))

হে পাণ্ডব কৌণ্ডিন্য মুনির উপদেশে পতি-পত্নী উভয়ে একসঙ্গে বিধিমতো পুরুষোত্তম মাসের পরমা 
একাদশী ব্রত পালন করলেন। ব্রত সমাপনের পর রাজভবন থেকে এক রাজকুমার তাদের কাছে এলেন। ব্রহ্মার প্রেরণায় তিনি বহু ধনসম্পদ, নতুন গৃহ ও গাভী এই দম্পতিকে দান করলেন। এই দানের ফলে মৃত্যুর পর সেই রাজা বিষ্ণুলোক প্রা্প্ত হয়েছিলেন। এইভাবে পরমা ব্রতের প্রভাবে ব্রাহ্মণ-দম্পতির সকল দু:খের অবসান হল।

যে মানুষ এই একাদশী ব্রত পালন না করেন তিনি চুরাশি লক্ষ যোনীতে ভ্রমণ করেও কখনও সুখী হন না। বহু পূণ্য কর্মের ফলে দুর্লভ মানব-জন্ম লাভ হয়। তাই মানব-জীবনে এই একাদশী ব্রত পালন করা অবশ্য কর্তব্য। এই মাহাত্য শুনে মহারাজ যুধিষ্ঠির তার আত্মীয়বর্গের সঙ্গে এই ব্রত পালন করেছিলেন।

রাধেশ্যাম
১২ জুলাই ২০১৫

১২ জুলাই , ২৬ আষাঢ় , রবিবার শ্রীশ্রী পরমা একাদশীর উপবাস।
পারণ পূর্বাহ ০৫.১৯ মিঃ হতে ০৭.৫৮ মিঃ পর্যন্ত।
পরমা একাদশী সম্পর্কে কিছু কথাঃ- (( পরবর্তী অংশ ))

এই কথা শুনে মুনিবর বললেন- হে সাধ্বী ! পুরুষোত্তম মাসের কৃষ্ণপক্ষে পরমা নামে সর্বশ্রেষ্ঠা এক একাদশী আছে। এই তিথি ভগবানের অতিব প্রিয়তমা। এই ব্রত পালনে মানুষ অন্ন , ধনসম্পদ আদি সবই লাভ করে থাকে। এই সুন্দর ব্রত ধনপতি কৃবের প্রথম করেছিলেন। রাজা হরিশচন্দ্রত্ত এই ব্রত পালনে স্ত্রী-পুত্র ত্ত রাজ্য ফিরে পেয়েছিলেন। হে বিশালাক্ষী ! এই জন্য তোমরাত্ত এই ব্রত পালন কর।
(( বাকী অংশ আগামী দিন ))


রাধেশ্যাম
৯ জুলাই ২০১৫

১২ জুলাই , ২৬ আষাঢ় , রবিবার শ্রীশ্রী পরমা একাদশীর উপবাস।
পারণ পূর্বাহ ০৫.১৯ মিঃ হতে ০৭.৫৮ মিঃ পর্যন্ত।
পরমা একাদশী সম্পর্কে কিছু কথাঃ- (( পরবর্তী অংশ ))

অপনাকে ছাড়া আমি এক মুহূর্তত্ত থাকতে পারব না। কেননা পতীহীনকে দুর্ভাগা বলে সবাই তখন নিন্দা করবে। অতত্রব এখানে যা ধন লাভ হয় তা দিয়ে দিন যাপন করুন। 
ঐ বিচক্ষণ ব্রাহ্মণ , পত্নীর কথা শুনে ঐ নগরেই রইলেন । একদিন মুনিশ্রেষ্ঠ কৌণ্ডিন্য সেখানে এলেন। তাকে দেেখে সুমেধা খুব খুশি হলেন। ব্রাহ্মণ সস্ত্রীক মুনিকে প্রণাম জানালেন। সুন্দর অসন দিয়ে তার পুজা করলেন। ঐ দম্পতি আনন্দ সহকারে মুনিকে ভোজন করালেন। এরপর ব্রাহ্মণপত্নী জিজ্ঞাসা করলেন- হে মুনিবর ! কিভাবে দারিদ্রতা নাশ হয় ? বিনা দানে কিভাবে ধন , বিদ্যা, স্ত্রী লাভ হয় ? আমার স্বামী আমাকে এখানে রেখে ভিক্ষার জন্য দূর দেশে যেতে চান। কিন্তু আমি তাকে যেতে নিষেধ করেছি। এখন আমাদের ভাগ্যবশে এখানে আপনার শুভাগমন হয়েছে। আপনার কৃপায় আমাদের দারিদ্রতা অবশ্যই নাশ হবে। দারিদ্রতা বিনষ্ট হয় এমন কোন ব্রত বা তপস্যার কথা আপনি কৃপা করে আমাদের বলুন। 
(( বাকী অংশ আগামী দিন ))


রাধেশ্যাম
৮ জুলাই ২০১৫

১২ জুলাই , ২৬ আষাঢ় , রবিবার শ্রীশ্রী পরমা একাদশীর উপবাস।
পারণ পূর্বাহ ০৫.১৯ মিঃ হতে ০৭.৫৮ মিঃ পর্যন্ত।

পরমা একাদশী সম্পর্কে কিছু কথাঃ- (( পরবর্তী অংশ ))
পবিত্রা অত্যন্ত প্রতিব্রতা ছিলেন। কিন্তু পূর্ব কর্মফলে এই ব্রাহ্মণ ধনহীন হয়ে পড়েন। ভিক্ষা চেয়েত্ত তার কিছুই যুটত না। কিন্তু তার স্ত্রী নিজ পতির সেবা নিষ্ঠা সহকারে করতেন। গৃহে অতিথিসেবার জন্য প্রয়োজনে অনাহারে থাকতেন। স্বামীকে কখনত্ত বলতেন না যে গৃহে অন্ন নেই। পত্নীর শারিরীক দুরাবস্তার কথা চিন্তা করে ব্রাহ্মণ নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করতেন। 
একদিন পত্নী প্রিয়ংবদাকে বললেন- হে কান্তে ! আমি ধনবান মানুষদের কাছেত্ত ভিক্ষা্ চেয়ে পাই না। বলো এখন আমি কি করব? ধন সংগ্রহের জন্য আমি অন্য কোথাত্ত যেতে চাই। তুমি আমাকে অনুমতি দাত্ত।
ব্রাহ্মণপত্নী তখন তাকে বললেন- হে বিদ্বান ! এজগতে মানুষ তার পূর্বসঞ্চিত ফল ভোগ করে।
পূর্বজন্মের কোন ফল না থাকলে স্বর্ণপর্বতে গেলেত্ত কিছু পাত্তয়া যাবে না। হে স্বামী , পূর্বজন্মে আমি অথবা আপনি কেউই ধনসম্পদ ইত্যাদি কোন কিছুই সৎপাত্রে দান করিনি। তাই আমাদের ভাগ্যে যা আছে তা এখান থেকেই লাভ হবে।
(( বাকী অংশ আগামী দিন ))


রাধেশ্যাম
৭ জুলাই ২০১৫

১২ জুলাই , ২৬ আষাঢ় , রবিবার শ্রীশ্রী পরমা একাদশীর উপবাস।
পারণ পূর্বাহ ০৫.১৯ মিঃ হতে ০৭.৫৮ মিঃ পর্যন্ত।

পরমা একাদশী সম্পর্কে কিছু কথাঃ-
মাহারাজ যুধিষ্ঠির বললেন - হে কৃষ্ণ ! পুরুষোত্তম মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম কি এবং এর বিধিই বা কি ? দয়া করে আমাকে বলুন।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন - হে যুধিষ্ঠির ! সুখভোগ , মুক্তি , আনন্দ প্রদানকারী , পবিত্র এবং পাপবিনাশিনী এই একাদশীর নাম পরমা। পূর্বে বর্ণিত একাদশীর বিধি অনুসারেই এই ব্রত পালন করা কর্তব্য। এখন এই ব্রত বিষয়ে এক মনোহর কাহিনী তোমাকে বলব। কাম্পিল্য নগরে মুনিঋষিদের কাছে অামি তা শুনেছিলাম। 
কাম্পিল্য নগরে সুমেধা নামে এক ব্রাহ্মন বাস করতেন। তার স্ত্রীর নাম ছিল পবিত্রা।
( বাকি অংশ আগামি দিন )

রাধেশ্যাম
৬ জুলাই ২০১৫

দুঃখ - দুর্দশার মূল কারণ -

শ্রীকৃষ্ণকে ভুলে জীব অনাদি কাল ধরে জড়া-প্রকৃতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। তাই তার সংশোধনের জন্য মায়া তাকে এই জড় জগতে নানা প্রকার দুঃখ প্রদান করছে , যেন সে বুঝতে পারে যে , এ জগত দুঃখময় এবং তা জেনে সে যেন ভগবানের শরণাপন্ন হয়। কারণ , একমাত্র ভগবানের করুণাতেই সে এই দুঃখময় জগৎ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে তার প্রকৃত আলয় ভগবদ্ধামে ফিরে যেতে পারবে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম , রুপ ইত্যাদি শ্রবণ এবং কীর্তনের দ্বারাই কেবল মানুষ অন্তহীন দুঃখ-দুর্দশাপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হতে পারে। তাই এ দুঃখ-দুর্দশা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হলো কেবল ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সন্তষ্টি বিধানের জন্য কর্ম করা এবং সেই সাথে সর্বশ্রেষ্ঠ যজ্ঞ- হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে / হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে - এই মাহামন্ত্র যপ ত্ত কীর্তন করা ।


রাধেশ্যাম
৫ জুলাই ২০১৫

অন্তিমকালে যিনি যে ভাব স্মরণ করে দেহ ত্যাগ করেন , তিনি সেই ভাবে ভাবিত তত্ত্বকেই লাভ করেন। জীবিত অবস্থায় অমরা যে সমস্ত চিন্তা করে থাকি সেই অনুযায়ী আমাদের মৃত্যুকালীন চিন্তার উদয় হয়। সুতরাং এই জীবনই সৃষ্টি করে আমাদের পরবর্তী জীবন। কেই যদি সর্বক্ষণ শুদ্ধসাত্বিক ভাবে জীবন যাপন করেন এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অপ্রাকৃত সেবায় ত্ত চিন্তায় মগ্ন থাকেন , তহলে তার পক্ষে জীবনের অন্তিম কালে কৃষ্ণ চিন্তা করা সম্ভব। শ্রীকৃষ্ণের অপ্রাকৃত সেবায় মগ্ন হয়ে থাকলে , পরবর্তী জীবনে অপ্রাকৃত শরীর ধারনের সৌভাগ্য অর্জিত হয়।

রাধেশ্যাম
৪ জুলাই ২০১৫

মনকে দমন করার সবচেয়ে সহজ পন্থা প্রদর্শন করে গেছেন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। সেই পন্থা হচ্ছে পূর্ণ দৈন্য সহকারে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করা। এই পথ হচ্ছে স বৈ মনঃ কৃষ্ণপদারবিন্দয়োঃ- মনকে সর্বতোভাবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবায় নিয়োজিত করতে হবে। তাহলেই আর কোন কিছুর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মন উদ্বিগ্ন হবে না।
হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ কৃষ্ণকৃষ্ণ হরেহরে হরেরাম হরেরাম রামরাম হরেহরে।।

রাধেশ্যাম
৩ জুলাই ২০১৫

সিদ্ধি লাভ করার আশায় যে যোগী নির্জনে বসে ধ্যান করেন , তিনি স্বার্থ চিন্তায় মগ্ন। কিন্তু যে ভগবদ্ভক্ত প্রতিটি মানুষকে কৃষ্ণভক্তে পরিণত করবার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছেন , তিনি নির্ঝনে ধ্যানরত যোগীর খেকে অনেক উচ্চমার্গে অবস্থিত।

রাধেশ্যাম
২ জুলাই ২০১৫

মানব জন্ম লাভ করার একমা্‌ত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, তত্তজ্ঞান লাভ করে মায়ামুক্ত হয়ে চিৎজগতে ফিরে যা্‌ওয়া। মহত্তম প্রবক্তা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখ নি:সৃত ভগবদ গীতার বাণীর যথাযথ মর্ম উপলব্ধি করা এবং তার শিক্ষা অনুযায়ী জীবন-যাপন করা। বহু জন্মের পূর্ণের ফলে এবং বহু তপস্যার বলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে মানুষ সর্ব কারণের কারণ পরমেশ্বর রূপে উপলব্ধি করতে পারে।

রাধেশ্যাম
০১ জুলাই ২০১৫

যে ভক্ত নিষ্ঠা সহকারে ভগবানের উদ্দেশ্যে একটি তুলসীপত্র এবং এক অঞ্জলি জল নিবেদন করেন, ভক্তবতসল ভগবান সম্পূর্ণরূপে সেই ভক্তের বশীভূত হয়ে পড়েন।

রাধেশ্যাম

৩০ জুন ২০১৫

Facebook এর সকল গৌর ভক্ত বৃন্দের পদরজ প্রার্থী প্রদীপ কৃষ্ণ দাস।
মহারাজ অম্বরীষ সর্বপ্রথমে তার মনকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চরণারবিন্দের ধ্যানে মগ্ন করেছিলেন।
তারপর ক্রমশ তিনি তার বাণী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অপ্রাকৃত লীলা বর্ণনায় নিয়োজিত করেছিলেন। তার হস্ত দ্বারা তিনি ভগবানের মন্দির মার্জনা করেছিলেন , তার শ্রবণ-ইন্দ্রিয় দ্বারা ভগবানের লীলা শ্রবণ করেছিলেন , তার চক্ষু দ্বারা ভগবানের অপ্রাকৃত রুপ দর্শণ করেছিলেন , তার ত্বক-ইন্দ্রিয় দিয়ে তিনি ভগবদ্ভত্তের দেহ স্পর্শ করেছিলেন এবং তার ঘ্রাণ-ইন্দ্রিয় দিয়ে তিনি ভগবানের শ্রীচরণে অর্পিত পদ্ম ফুলের ঘ্রাণ গ্রহণ করেছিলেন। তার জিহ্বা দিয়ে ভগবানের শ্রীচরণে অর্পিত তুলসীর স্বাদ গ্রহণ করেছিলেন , তার পদযুগল দ্বারা তিনি বিভিন্ন তীর্থস্থানে এবং ভগবানের মন্দিরে গমন করেছিলেন , তার মস্তক দিয়ে তিনি ভগবানকে প্রণতি নিবেদন করেছিলেন এবং তার সমস্ত কামনাকে তিনি ভগবানের সেবায় নিয়োজিত করেছিলেন। এই সমস্ত অপ্রাকৃত কর্মগুলি শ্রদ্ধ ভক্তেরই যোগ্য।


রাধেশ্যাম
২৮ জুন ২০১৫

প্রভুবলে - কৃষ্ণ ভাক্তি হউক সবার।
কৃষ্ণ নাম - গুনবই না বলিহ আর।।
আপনে সবারে প্রভু কারে উপদেশ।
কৃষ্ণ নাম মহামন্ত্র শুনহ হরিষে।।
হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ কৃষ্ণকৃষ্ণ হরেহরে।
হরেরাম হরেরাম রামরাম হরেহরে।।
প্রভুবলে কহিলাম এই মহামন্ত্র।
ইহা জপ গিয়া সবে করিয়া নিবন্ধ।।
ইহা হইতে সর্বসিদ্ধি হইবে সবার।
সর্বক্ষণ বল, ইথে বিধি নাহি আর।।
কৃষ্ণনাম মহামন্ত্রের এইতো স্বভাব।
যেই জপে , তার কৃষ্ণে উপজয়ে ভাব।।

রাধেশ্যাম
২৮ জুন ২০১৫

শুন শুন নিত্যানন্দ , শুন হরিদাস। সর্বত্র আমার আজ্ঞা করহ প্রকাশ।।
প্রতি ঘরে ঘরে গিয়া কর এই ভিক্ষা। বল কৃষ্ণ , ভজ কৃষ্ণ , কর কৃষ্ণ শিক্ষা।।

রাধেশ্যাম
২৭ জুন ২০১৫

সর্বধর্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরনং ব্রজ।
অহং ত্বাং সর্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ।।
অনুবাদঃ সর্ব প্রকার ধর্ম পবিত্যাগ করে কেবল আমার শরনাগত হত্ত। আমি তোমাকে সমস্ত পাপ খেকে মুক্ত করব।

রাধেশ্যাম
২৬ জুন ২০১৫

একজন কৃষ্ণভাবনায় ভাবিত কৃষ্ণভক্ত আপনাথেকেই বিশ্বাসী অবিশ্বাসী উভয়ের অন্তরে শ্রীকৃষ্ণকে দর্শন করতে পারেন। সর্ব জীবের উতস হরি মায়ের মতো সকলকে পালন করেন। মা যেমন তার সব কয়টি সন্তানের পতি সমদৃষ্টি - সম্পন্ন , পরমপিতা বা মাতা ভগবান ত্ত তেমন সকলের পতি সমভাবাপন্ন। পরমাত্না রুপে তিনি সকলের অন্তরে বিরাজ করেন।

রাধেশ্যাম
২৫ জুন ২০১৫

মা যশোদার নীলমনি ব্রজরাজ কুমার।
তব শ্রীচরণে মোর প্রণতি আমার।।
নিত্যসনাতন প্রভু , অনিত্য এ সংসার।
তুমি ছাড়া এ ভূবনে কে আছে আমার।।
অতি হীন জন আমি , হে জগন্নাথ।
জনমে , জনমে রেখ চরণের পাশ।।
ব্রক্ষা অাদি দেবগন তোমায় করে স্মরণ।
সকলের হৃদে প্রভু আছ সারাক্ষণ।।
তোমার ভূবনে প্রভু আমি যে একা।
দোষ ক্ষমি মো অধমে কর নিজ দাস।।


রাধেশ্যাম
২৪ জুন ২০১৫

মানুষের জন্য ভগবান যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্য-শস্য, ফল-মূল, দুধ আদি দিয়েছেন, তাই পশু ভক্ষণ করা মানুষের কোন মতেই উচিত নয়। ভগবদগীতায় এই প্রকার সাদাসিধে খাদ্যকে সত্ত্বগুণময় বলে বর্ণনা করা হয়েছে। মাংস তমোগুণসম্পন্ন মানুষের আহার। তাই, যারা মাছ-মাংস আহার করে, মদ পান করে, ধুমপান করে এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন না করে আহার করে, তারা আহার-দোষের ফলস্বরূপ নি:সন্দেহে পাপের ফলভোগ করে।

রাধেশ্যাম
২০ জুন ২০১৫

শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু , হরিদাস এবং সনাতন গোস্বামীকে বুঝিয়েছেন যে ভগবানের সেবায় আত্ননিয়োগ করেছেন যে ভক্ত তার দেহ কখনই প্রাকৃত নয়। যেহেতু তিনি সর্বদা ভগবানের সেবায় যুক্ত , তাই তার দেহ অপ্রাকৃত এবং চিদানন্দময়। মন্দিরে উপাসিত ভগবানের শ্রীবিগ্রহ যেমন কাঠ অথবা পাথর নয় , তেমনই ভগবদ্ভক্তের দেহ জড় নয়। প্রকৃতপক্ষে , ভগবানের শ্রীবিগ্রহ পরমেশ্বর ভগবান স্বয়ং, সে সম্বন্ধে কোন সন্দেহ নেই।

রাধেশ্যাম
২০ জুন ২০১৫

জড় কলুষিত ইন্দ্রিয়ের দ্বারা কেউ শ্রীকৃষ্ণের নাম, রুপ, গুণ, লীলার দিব্য প্রকৃতি উপলব্ধি করতে পারে না। ভগবানের সেবা করার মাধ্যমে যখন দিব্য চেতনার উন্মেষ হয়, তখন ভগবানের অপ্রাকৃত নাম, রুপ ত্ত লীলার চিন্ময় সরুপ তার কাছে অনুভূত হয়।

রাধেশ্যাম
১৬ জুন ২০১৫

পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিবিধ শক্তি সম্পন্ন নিত্য অদ্বয়তত্ত্ব। কেউ যখন শ্রীকৃষ্ণের মায়া শক্তির দ্বারা আচ্ছন্ন থাকার ফলে শ্রীকৃষ্ণকে জানতে পারে না , তখন সে বুঝতে পারে না তার পক্ষে কি ভাল এবং কি মন্দ । ভাল ত্ত মন্দের ধারণা মনোধর্ম অথবা কলপনা । কেউ যখন ভুলে যায় যে সে শ্রীকৃষ্ণের নিত্য দাস , তখন সে বিভিন্ন পরিকলপনা দ্বারা জড় জগতকে ভোগ করতে চায় । তখন সে তার পরিকলপনা অনুসারে বিচার করে কোনটি ভাল এবং কোনটি মন্দ । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই সমস্ত ধারণা ভ্রান্ত।

রাধেশ্যাম

Friday, 17 July 2015

১৫ জুন ২০১৫

ভারত ভূমিতে জন্ম গ্রহণ করার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, সেখানে জন্ম গ্রহণ করার ফলে আপনা থেকেই ভগবদ্ভক্তি লাভ হয়। ভারতবর্ষের সর্বত্র , বিশেষ করে তীর্থস্থান গুলিতে , সাধারণ অশিক্ষিত মানুষত্ত কৃষ্ণভাবনাময় , এবং কৃষ্ণভক্তকে দর্শন করা মাত্র তারা তাকে প্রণতি নিবেদন করে। ভারতবর্ষে গঙ্গা , যমুন্ , নর্মদা , কাবেরী এবং কৃষ্ণা প্রমুখ বহু পবিত্র নদি রয়েছে , এবং সেই সমস্ত নদীতে স্নান করার ফলে মানুষ জড় জগতের বন্ধন মুক্ত হয়ে কৃষ্ণভক্তি লাভ করে।

রাধেশ্যাম
১৪ জুন ২০১৫

নীচ জাতি কৃষ্ণ ভজনের অযোগ্য নয়, আবার সত কুলোদ্ভুত ব্রাহ্মণত্ত ভজনের যোগ্য নয়। যিনি শ্রীকৃষ্ণের ভজনা করেন, তিনিই মহান, আর যারা অভক্ত তারা অধ:পতিত এবং ঘৃণ্য। তাই কৃষ্ণ ভজনে জাতি, কুল ইত্যাদির কোন বিচার নেই। হে ভগবান যাদের মুখে আপনার নাম বর্তমান তারা চন্ডাল কুলে জন্ম গ্রহন করলেত্ত সর্বশ্রেষ্ঠ। অাপনার নাম যারা কীর্তন করেন তারাই সমস্ত প্রকার তপস্যা করেছেন, তারাই বেদ অধ্যায়ন করেছেন। সুতরাং তারাই আর্য বলে পরিগনিত।

রাধেশ্যাম
১২ জুন ২০১৫

সেই ভক্ত ধন্য , যিনি তা্র প্রভুর চরণাশ্রয় পরিত্যাগ করেন না , এবং সেই প্রভু ধন্য যিনি তার নিজজনকে পরিত্যাগ করতে পারেন না।
দৈবক্রমে সেবক যদি অন্য কোথাত্ত চলে যায় , তাহলে যে প্রভু তার চুল ধরে তাকে ফিরিয়ে আনেন , তিনি ধন্য।

গুরু বৈষ্ণব পদরজ পার্থী 
প্রদীপ কৃষ্ণ দাস


রাধেশ্যাম