Friday, 24 July 2015

২৪ জুলাই ২০১৫

শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা অবগত হয়ে যে মানুষ কৃষ্ণভাবনাময় কর্ম করছেন, তিনি সর্বদাই মুক্ত। তাই তাঁকে মৃত্যুর পরে তাঁর কর্মফল-স্বরূপ সুখ বা দুঃখ কিছুই ভোগ করতে হয় না।

রাধেশ্যাম

Thursday, 23 July 2015

২৩ জুলাই ২০১৫

২৭ জুলাই , ১০ শ্রাবণ , সোমবার শ্রীশ্রী শয়ন একাদশীর উপবাস।
পারণ পূর্বাহ ০৬.২৬ মিঃ হতে ০৯.৫১ মিঃ পর্যন্ত।
শয়ন একাদশী সম্পর্কে কিছু কথাঃ- 
শ্রী ব্রহ্মা বললেন- হে নারদ ! এ সংসারে একাদশীর মতো পবিত্র আর কোন ব্রত নেই। সকল পাপ বিনাশের জন্য এই বিষ্ণুব্রত পালন করা একান্ত আবশ্যক। যে ব্যক্তি এই প্রকার পবিত্র পাপনাশক এবং সকল অভিষ্ট প্রদাতা একাদশী ব্রত না করে তাকে নরকগামী হতে হয়। সুখ ও মাক্তি প্রদান কারী এই উত্তম ব্রত পালন করা সকলেরই অবশ্য কর্তব্য।

রাধেশ্যাম

Wednesday, 22 July 2015

২২ জুলাই ২০১৫

শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ‍যিনি প্রগাঢ় ভাবে প্রেম পরায়ণ, তিনি কোন রকম জাগতিক অসুবিধে, অভাব, বিঘ্ন ও দুঃখ আদির দ্বারা প্রভাবিত হন না। যথাথই যিনি কৃষ্ণপ্রেমিক, নানা বাধা-বিপত্তি সত্বেত্ত তিনি কখনও তাঁর সেবা থেকে বিচ্যুত হন না।

রাধেশ্যাম
২১ জুলাই ২০১৫

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছে, বিশ্বব্রহ্মান্ডের সমস্ত গ্রহলোকের মহেশ্বর এবং তা সকলের জানা উচিত। সৃষ্টির পূর্বেওে তিনি ছিলেন এবং তিনি তাঁর সৃষ্টি থেকে ভিন্ন। দেব-দেবীরা সকলেই এই জড় জগতের সৃষ্ট হয়েছেন, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ এই সমস্ত সৃষ্টির উর্ধ্বে, তিনি কখনও সৃষ্ট হন না; তাই তিনি ব্রাহ্মা, শিব আদি মহান দেবতাদের থেকেও ভিন্ন। আর যেহেতু তিনি ব্রহ্মা, শিব ও অন্যান্য সমস্ত দেব-দেবীর সৃষ্টিকর্তা, তাই তিনি সমস্ত গ্রহলোকেরও পরম পুরুষ।

রাধেশ্যাম
২০ জুলাই ২০১৫

কৃষ্ণচেতনার উপলব্ধি যিনি লাভ করেছেন, তার তীবন সার্থক। ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে যারা যানে না, তারা মায়াবদ্ধ। শ্রীকৃষ্ণ সম্বন্ধে অবগত হত্তয়াই হচ্ছে মুক্তি, আর তার সম্বন্ধে অজ্ঞ থাকায় হচ্ছে বন্ধন। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে, তিনিই সমস্ত বুদ্ধির উৎস। মানুষের বুদ্ধির বিকাশ না হলে সে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে জানতে পারে না।

রাধেশ্যাম

Saturday, 18 July 2015

১৮ জুলাই ২০১৫

শুদ্ধ ভক্ত কেবল পরমেশ্বর ভগবানের সেবাকেই অঙ্গীকার করে। কৃষ্ণ-বিষয়ক একটি অতি মধুর কবিতিাতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, শ্রীকৃষ্ণ ব্যতীত অন্যান্য দেব-দেবীর পূজায় নিয়োজিত ব্যাক্তিগণ মূঢ়্ এবং তারা কখনই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পরম কৃপা লাভ করতে পারে না। পরমেশ্বব ভগবানের শুদ্ধ ভক্তের কখনও পতনের সম্ভাবনা থাকে না। কারণ, পরম পুরুষোত্তম ভগবান স্বয়ং তাঁর শুদ্ধ ভক্তের সকল দয়িত্ব গ্রহণ করেন।

রাধেশ্যাম
১৭ জুলাই ২০১৫

১৮ জুলাই শনিবার শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্র উৎসব।
জড় স্থূল ইন্দ্রিয়ের দ্বারা কখনেই শ্রীকৃষ্ণকে জানতে পাড়া যায় না ভক্তের ভক্তিতে প্রসন্ন হলে শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং তাঁর কাছে নিজেকে প্রকাশিত করেন।
শ্রীজগন্নথদেবের রথযাত্রা এক বিশেষ মহোৎসব। এ উৎসবে শ্রীজগন্নাথদেব সবাইকে অকাতরে তাঁর কৃপা দান করেন। তাদের এ রথযাত্রার পথে যারাই রথ টানবেন, তারা সকলেই তাঁর আশীর্বাদ প্রাপ্ত হবেন।

ভক্ত পদরজ প্রার্থী প্রদীপ কৃষ্ণ দাস।

রাধেশ্যাম
১৬ জুলাই ২০১৫

বৈদিক শাস্ত্রসমূহ থেকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা শ্রবণ করলে অথবা ভগবদ্ গীতা থেকে ভগবানের শ্রীমুখ-নিঃসৃত বাণী শ্রবণ করলে কল্যাণ হয়। কেউ যখন কৃষ্ণ কথা শ্রবণ করেন, ‍তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, ‍যিনি সকলের অন্তরে বিরাজমান, ‍তিনি পরম বন্ধুর মতো তাঁর হৃদয়কে সমস্ত কলুষ থেকে মুক্ত করেন।

রাধেশ্যাম
১৫ জুলাই ২০১৫

"‍‌‌‌‌‍‍হে ভগবান ! চন্ডালকুলে জন্মগ্রহণ করেও যদি কেউ তোমার অপ্রাকৃত নাম কীর্তন করেন, তবে বুঝতে হবে যে, তিনি পারমার্থিক জীবনে অত্যন্ত উন্নত। যিনি ভগবানের নাম করেন, তিনি নি:সন্দেহে ইতিপূর্বেই সব রকমের তপশ্চর্যা, যাগ-যজ্ঞ, তীর্থস্থান ও শাস্ত্র অধ্যয়ন সমাপ্ত করেছেন।"

রাধেশ্যাম
১২ জুলাই ২০১৫

আজ একাদশী তিথি। একাদশী তিথি সকলের অভিষ্ট প্রদানকারী। এই ব্রত পালনে সমস্ত প্রকার পাপ বিনষ্ট , সর্বসৌভাগ্য ত্ত শ্রীকৃষ্ণের প্রীতি বিধান হয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আট থেকে আশি বছর বয়স পর্যন্ত যেকোন ব্যাক্তিরই ভক্তিসহকারে পবিত্র একাদশী ব্রত পালন করা কর্তব্য। 
দুর্লভ মানব জীবন লাভ করেত্ত এই ব্রত অনুষ্টান না করলে বগু দুঃখে-কষ্টে চুরাশি লক্ষ যোনি ভ্রমণ করতে হয়। অহংকার বশত একাদশী ব্রত ত্যাগ করলে অশেষ যমযন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। যে ব্যাক্তি এই ব্রতকে তুচ্ছ জ্ঞান করে , জীবিত হয়েত্ত সে মৃতের সমান।


রাধেশ্যাম
১১ জুলাই ২০১৫

১২ জুলাই , ২৬ আষাঢ় , রবিবার শ্রীশ্রী পরমা একাদশীর উপবাস।
পারণ পূর্বাহ ০৫.১৯ মিঃ হতে ০৭.৫৮ মিঃ পর্যন্ত।
পরমা একাদশী সম্পর্কে কিছু কথাঃ- (( পরবর্তী অংশ ))

হে পাণ্ডব কৌণ্ডিন্য মুনির উপদেশে পতি-পত্নী উভয়ে একসঙ্গে বিধিমতো পুরুষোত্তম মাসের পরমা 
একাদশী ব্রত পালন করলেন। ব্রত সমাপনের পর রাজভবন থেকে এক রাজকুমার তাদের কাছে এলেন। ব্রহ্মার প্রেরণায় তিনি বহু ধনসম্পদ, নতুন গৃহ ও গাভী এই দম্পতিকে দান করলেন। এই দানের ফলে মৃত্যুর পর সেই রাজা বিষ্ণুলোক প্রা্প্ত হয়েছিলেন। এইভাবে পরমা ব্রতের প্রভাবে ব্রাহ্মণ-দম্পতির সকল দু:খের অবসান হল।

যে মানুষ এই একাদশী ব্রত পালন না করেন তিনি চুরাশি লক্ষ যোনীতে ভ্রমণ করেও কখনও সুখী হন না। বহু পূণ্য কর্মের ফলে দুর্লভ মানব-জন্ম লাভ হয়। তাই মানব-জীবনে এই একাদশী ব্রত পালন করা অবশ্য কর্তব্য। এই মাহাত্য শুনে মহারাজ যুধিষ্ঠির তার আত্মীয়বর্গের সঙ্গে এই ব্রত পালন করেছিলেন।

রাধেশ্যাম
১২ জুলাই ২০১৫

১২ জুলাই , ২৬ আষাঢ় , রবিবার শ্রীশ্রী পরমা একাদশীর উপবাস।
পারণ পূর্বাহ ০৫.১৯ মিঃ হতে ০৭.৫৮ মিঃ পর্যন্ত।
পরমা একাদশী সম্পর্কে কিছু কথাঃ- (( পরবর্তী অংশ ))

এই কথা শুনে মুনিবর বললেন- হে সাধ্বী ! পুরুষোত্তম মাসের কৃষ্ণপক্ষে পরমা নামে সর্বশ্রেষ্ঠা এক একাদশী আছে। এই তিথি ভগবানের অতিব প্রিয়তমা। এই ব্রত পালনে মানুষ অন্ন , ধনসম্পদ আদি সবই লাভ করে থাকে। এই সুন্দর ব্রত ধনপতি কৃবের প্রথম করেছিলেন। রাজা হরিশচন্দ্রত্ত এই ব্রত পালনে স্ত্রী-পুত্র ত্ত রাজ্য ফিরে পেয়েছিলেন। হে বিশালাক্ষী ! এই জন্য তোমরাত্ত এই ব্রত পালন কর।
(( বাকী অংশ আগামী দিন ))


রাধেশ্যাম
৯ জুলাই ২০১৫

১২ জুলাই , ২৬ আষাঢ় , রবিবার শ্রীশ্রী পরমা একাদশীর উপবাস।
পারণ পূর্বাহ ০৫.১৯ মিঃ হতে ০৭.৫৮ মিঃ পর্যন্ত।
পরমা একাদশী সম্পর্কে কিছু কথাঃ- (( পরবর্তী অংশ ))

অপনাকে ছাড়া আমি এক মুহূর্তত্ত থাকতে পারব না। কেননা পতীহীনকে দুর্ভাগা বলে সবাই তখন নিন্দা করবে। অতত্রব এখানে যা ধন লাভ হয় তা দিয়ে দিন যাপন করুন। 
ঐ বিচক্ষণ ব্রাহ্মণ , পত্নীর কথা শুনে ঐ নগরেই রইলেন । একদিন মুনিশ্রেষ্ঠ কৌণ্ডিন্য সেখানে এলেন। তাকে দেেখে সুমেধা খুব খুশি হলেন। ব্রাহ্মণ সস্ত্রীক মুনিকে প্রণাম জানালেন। সুন্দর অসন দিয়ে তার পুজা করলেন। ঐ দম্পতি আনন্দ সহকারে মুনিকে ভোজন করালেন। এরপর ব্রাহ্মণপত্নী জিজ্ঞাসা করলেন- হে মুনিবর ! কিভাবে দারিদ্রতা নাশ হয় ? বিনা দানে কিভাবে ধন , বিদ্যা, স্ত্রী লাভ হয় ? আমার স্বামী আমাকে এখানে রেখে ভিক্ষার জন্য দূর দেশে যেতে চান। কিন্তু আমি তাকে যেতে নিষেধ করেছি। এখন আমাদের ভাগ্যবশে এখানে আপনার শুভাগমন হয়েছে। আপনার কৃপায় আমাদের দারিদ্রতা অবশ্যই নাশ হবে। দারিদ্রতা বিনষ্ট হয় এমন কোন ব্রত বা তপস্যার কথা আপনি কৃপা করে আমাদের বলুন। 
(( বাকী অংশ আগামী দিন ))


রাধেশ্যাম
৮ জুলাই ২০১৫

১২ জুলাই , ২৬ আষাঢ় , রবিবার শ্রীশ্রী পরমা একাদশীর উপবাস।
পারণ পূর্বাহ ০৫.১৯ মিঃ হতে ০৭.৫৮ মিঃ পর্যন্ত।

পরমা একাদশী সম্পর্কে কিছু কথাঃ- (( পরবর্তী অংশ ))
পবিত্রা অত্যন্ত প্রতিব্রতা ছিলেন। কিন্তু পূর্ব কর্মফলে এই ব্রাহ্মণ ধনহীন হয়ে পড়েন। ভিক্ষা চেয়েত্ত তার কিছুই যুটত না। কিন্তু তার স্ত্রী নিজ পতির সেবা নিষ্ঠা সহকারে করতেন। গৃহে অতিথিসেবার জন্য প্রয়োজনে অনাহারে থাকতেন। স্বামীকে কখনত্ত বলতেন না যে গৃহে অন্ন নেই। পত্নীর শারিরীক দুরাবস্তার কথা চিন্তা করে ব্রাহ্মণ নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করতেন। 
একদিন পত্নী প্রিয়ংবদাকে বললেন- হে কান্তে ! আমি ধনবান মানুষদের কাছেত্ত ভিক্ষা্ চেয়ে পাই না। বলো এখন আমি কি করব? ধন সংগ্রহের জন্য আমি অন্য কোথাত্ত যেতে চাই। তুমি আমাকে অনুমতি দাত্ত।
ব্রাহ্মণপত্নী তখন তাকে বললেন- হে বিদ্বান ! এজগতে মানুষ তার পূর্বসঞ্চিত ফল ভোগ করে।
পূর্বজন্মের কোন ফল না থাকলে স্বর্ণপর্বতে গেলেত্ত কিছু পাত্তয়া যাবে না। হে স্বামী , পূর্বজন্মে আমি অথবা আপনি কেউই ধনসম্পদ ইত্যাদি কোন কিছুই সৎপাত্রে দান করিনি। তাই আমাদের ভাগ্যে যা আছে তা এখান থেকেই লাভ হবে।
(( বাকী অংশ আগামী দিন ))


রাধেশ্যাম
৭ জুলাই ২০১৫

১২ জুলাই , ২৬ আষাঢ় , রবিবার শ্রীশ্রী পরমা একাদশীর উপবাস।
পারণ পূর্বাহ ০৫.১৯ মিঃ হতে ০৭.৫৮ মিঃ পর্যন্ত।

পরমা একাদশী সম্পর্কে কিছু কথাঃ-
মাহারাজ যুধিষ্ঠির বললেন - হে কৃষ্ণ ! পুরুষোত্তম মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম কি এবং এর বিধিই বা কি ? দয়া করে আমাকে বলুন।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন - হে যুধিষ্ঠির ! সুখভোগ , মুক্তি , আনন্দ প্রদানকারী , পবিত্র এবং পাপবিনাশিনী এই একাদশীর নাম পরমা। পূর্বে বর্ণিত একাদশীর বিধি অনুসারেই এই ব্রত পালন করা কর্তব্য। এখন এই ব্রত বিষয়ে এক মনোহর কাহিনী তোমাকে বলব। কাম্পিল্য নগরে মুনিঋষিদের কাছে অামি তা শুনেছিলাম। 
কাম্পিল্য নগরে সুমেধা নামে এক ব্রাহ্মন বাস করতেন। তার স্ত্রীর নাম ছিল পবিত্রা।
( বাকি অংশ আগামি দিন )

রাধেশ্যাম
৬ জুলাই ২০১৫

দুঃখ - দুর্দশার মূল কারণ -

শ্রীকৃষ্ণকে ভুলে জীব অনাদি কাল ধরে জড়া-প্রকৃতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। তাই তার সংশোধনের জন্য মায়া তাকে এই জড় জগতে নানা প্রকার দুঃখ প্রদান করছে , যেন সে বুঝতে পারে যে , এ জগত দুঃখময় এবং তা জেনে সে যেন ভগবানের শরণাপন্ন হয়। কারণ , একমাত্র ভগবানের করুণাতেই সে এই দুঃখময় জগৎ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে তার প্রকৃত আলয় ভগবদ্ধামে ফিরে যেতে পারবে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম , রুপ ইত্যাদি শ্রবণ এবং কীর্তনের দ্বারাই কেবল মানুষ অন্তহীন দুঃখ-দুর্দশাপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হতে পারে। তাই এ দুঃখ-দুর্দশা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হলো কেবল ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সন্তষ্টি বিধানের জন্য কর্ম করা এবং সেই সাথে সর্বশ্রেষ্ঠ যজ্ঞ- হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে / হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে - এই মাহামন্ত্র যপ ত্ত কীর্তন করা ।


রাধেশ্যাম
৫ জুলাই ২০১৫

অন্তিমকালে যিনি যে ভাব স্মরণ করে দেহ ত্যাগ করেন , তিনি সেই ভাবে ভাবিত তত্ত্বকেই লাভ করেন। জীবিত অবস্থায় অমরা যে সমস্ত চিন্তা করে থাকি সেই অনুযায়ী আমাদের মৃত্যুকালীন চিন্তার উদয় হয়। সুতরাং এই জীবনই সৃষ্টি করে আমাদের পরবর্তী জীবন। কেই যদি সর্বক্ষণ শুদ্ধসাত্বিক ভাবে জীবন যাপন করেন এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অপ্রাকৃত সেবায় ত্ত চিন্তায় মগ্ন থাকেন , তহলে তার পক্ষে জীবনের অন্তিম কালে কৃষ্ণ চিন্তা করা সম্ভব। শ্রীকৃষ্ণের অপ্রাকৃত সেবায় মগ্ন হয়ে থাকলে , পরবর্তী জীবনে অপ্রাকৃত শরীর ধারনের সৌভাগ্য অর্জিত হয়।

রাধেশ্যাম
৪ জুলাই ২০১৫

মনকে দমন করার সবচেয়ে সহজ পন্থা প্রদর্শন করে গেছেন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। সেই পন্থা হচ্ছে পূর্ণ দৈন্য সহকারে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করা। এই পথ হচ্ছে স বৈ মনঃ কৃষ্ণপদারবিন্দয়োঃ- মনকে সর্বতোভাবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবায় নিয়োজিত করতে হবে। তাহলেই আর কোন কিছুর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মন উদ্বিগ্ন হবে না।
হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ কৃষ্ণকৃষ্ণ হরেহরে হরেরাম হরেরাম রামরাম হরেহরে।।

রাধেশ্যাম
৩ জুলাই ২০১৫

সিদ্ধি লাভ করার আশায় যে যোগী নির্জনে বসে ধ্যান করেন , তিনি স্বার্থ চিন্তায় মগ্ন। কিন্তু যে ভগবদ্ভক্ত প্রতিটি মানুষকে কৃষ্ণভক্তে পরিণত করবার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছেন , তিনি নির্ঝনে ধ্যানরত যোগীর খেকে অনেক উচ্চমার্গে অবস্থিত।

রাধেশ্যাম
২ জুলাই ২০১৫

মানব জন্ম লাভ করার একমা্‌ত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, তত্তজ্ঞান লাভ করে মায়ামুক্ত হয়ে চিৎজগতে ফিরে যা্‌ওয়া। মহত্তম প্রবক্তা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখ নি:সৃত ভগবদ গীতার বাণীর যথাযথ মর্ম উপলব্ধি করা এবং তার শিক্ষা অনুযায়ী জীবন-যাপন করা। বহু জন্মের পূর্ণের ফলে এবং বহু তপস্যার বলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে মানুষ সর্ব কারণের কারণ পরমেশ্বর রূপে উপলব্ধি করতে পারে।

রাধেশ্যাম
০১ জুলাই ২০১৫

যে ভক্ত নিষ্ঠা সহকারে ভগবানের উদ্দেশ্যে একটি তুলসীপত্র এবং এক অঞ্জলি জল নিবেদন করেন, ভক্তবতসল ভগবান সম্পূর্ণরূপে সেই ভক্তের বশীভূত হয়ে পড়েন।

রাধেশ্যাম

৩০ জুন ২০১৫

Facebook এর সকল গৌর ভক্ত বৃন্দের পদরজ প্রার্থী প্রদীপ কৃষ্ণ দাস।
মহারাজ অম্বরীষ সর্বপ্রথমে তার মনকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চরণারবিন্দের ধ্যানে মগ্ন করেছিলেন।
তারপর ক্রমশ তিনি তার বাণী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অপ্রাকৃত লীলা বর্ণনায় নিয়োজিত করেছিলেন। তার হস্ত দ্বারা তিনি ভগবানের মন্দির মার্জনা করেছিলেন , তার শ্রবণ-ইন্দ্রিয় দ্বারা ভগবানের লীলা শ্রবণ করেছিলেন , তার চক্ষু দ্বারা ভগবানের অপ্রাকৃত রুপ দর্শণ করেছিলেন , তার ত্বক-ইন্দ্রিয় দিয়ে তিনি ভগবদ্ভত্তের দেহ স্পর্শ করেছিলেন এবং তার ঘ্রাণ-ইন্দ্রিয় দিয়ে তিনি ভগবানের শ্রীচরণে অর্পিত পদ্ম ফুলের ঘ্রাণ গ্রহণ করেছিলেন। তার জিহ্বা দিয়ে ভগবানের শ্রীচরণে অর্পিত তুলসীর স্বাদ গ্রহণ করেছিলেন , তার পদযুগল দ্বারা তিনি বিভিন্ন তীর্থস্থানে এবং ভগবানের মন্দিরে গমন করেছিলেন , তার মস্তক দিয়ে তিনি ভগবানকে প্রণতি নিবেদন করেছিলেন এবং তার সমস্ত কামনাকে তিনি ভগবানের সেবায় নিয়োজিত করেছিলেন। এই সমস্ত অপ্রাকৃত কর্মগুলি শ্রদ্ধ ভক্তেরই যোগ্য।


রাধেশ্যাম
২৮ জুন ২০১৫

প্রভুবলে - কৃষ্ণ ভাক্তি হউক সবার।
কৃষ্ণ নাম - গুনবই না বলিহ আর।।
আপনে সবারে প্রভু কারে উপদেশ।
কৃষ্ণ নাম মহামন্ত্র শুনহ হরিষে।।
হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ কৃষ্ণকৃষ্ণ হরেহরে।
হরেরাম হরেরাম রামরাম হরেহরে।।
প্রভুবলে কহিলাম এই মহামন্ত্র।
ইহা জপ গিয়া সবে করিয়া নিবন্ধ।।
ইহা হইতে সর্বসিদ্ধি হইবে সবার।
সর্বক্ষণ বল, ইথে বিধি নাহি আর।।
কৃষ্ণনাম মহামন্ত্রের এইতো স্বভাব।
যেই জপে , তার কৃষ্ণে উপজয়ে ভাব।।

রাধেশ্যাম
২৮ জুন ২০১৫

শুন শুন নিত্যানন্দ , শুন হরিদাস। সর্বত্র আমার আজ্ঞা করহ প্রকাশ।।
প্রতি ঘরে ঘরে গিয়া কর এই ভিক্ষা। বল কৃষ্ণ , ভজ কৃষ্ণ , কর কৃষ্ণ শিক্ষা।।

রাধেশ্যাম
২৭ জুন ২০১৫

সর্বধর্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরনং ব্রজ।
অহং ত্বাং সর্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ।।
অনুবাদঃ সর্ব প্রকার ধর্ম পবিত্যাগ করে কেবল আমার শরনাগত হত্ত। আমি তোমাকে সমস্ত পাপ খেকে মুক্ত করব।

রাধেশ্যাম
২৬ জুন ২০১৫

একজন কৃষ্ণভাবনায় ভাবিত কৃষ্ণভক্ত আপনাথেকেই বিশ্বাসী অবিশ্বাসী উভয়ের অন্তরে শ্রীকৃষ্ণকে দর্শন করতে পারেন। সর্ব জীবের উতস হরি মায়ের মতো সকলকে পালন করেন। মা যেমন তার সব কয়টি সন্তানের পতি সমদৃষ্টি - সম্পন্ন , পরমপিতা বা মাতা ভগবান ত্ত তেমন সকলের পতি সমভাবাপন্ন। পরমাত্না রুপে তিনি সকলের অন্তরে বিরাজ করেন।

রাধেশ্যাম
২৫ জুন ২০১৫

মা যশোদার নীলমনি ব্রজরাজ কুমার।
তব শ্রীচরণে মোর প্রণতি আমার।।
নিত্যসনাতন প্রভু , অনিত্য এ সংসার।
তুমি ছাড়া এ ভূবনে কে আছে আমার।।
অতি হীন জন আমি , হে জগন্নাথ।
জনমে , জনমে রেখ চরণের পাশ।।
ব্রক্ষা অাদি দেবগন তোমায় করে স্মরণ।
সকলের হৃদে প্রভু আছ সারাক্ষণ।।
তোমার ভূবনে প্রভু আমি যে একা।
দোষ ক্ষমি মো অধমে কর নিজ দাস।।


রাধেশ্যাম
২৪ জুন ২০১৫

মানুষের জন্য ভগবান যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্য-শস্য, ফল-মূল, দুধ আদি দিয়েছেন, তাই পশু ভক্ষণ করা মানুষের কোন মতেই উচিত নয়। ভগবদগীতায় এই প্রকার সাদাসিধে খাদ্যকে সত্ত্বগুণময় বলে বর্ণনা করা হয়েছে। মাংস তমোগুণসম্পন্ন মানুষের আহার। তাই, যারা মাছ-মাংস আহার করে, মদ পান করে, ধুমপান করে এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন না করে আহার করে, তারা আহার-দোষের ফলস্বরূপ নি:সন্দেহে পাপের ফলভোগ করে।

রাধেশ্যাম
২০ জুন ২০১৫

শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু , হরিদাস এবং সনাতন গোস্বামীকে বুঝিয়েছেন যে ভগবানের সেবায় আত্ননিয়োগ করেছেন যে ভক্ত তার দেহ কখনই প্রাকৃত নয়। যেহেতু তিনি সর্বদা ভগবানের সেবায় যুক্ত , তাই তার দেহ অপ্রাকৃত এবং চিদানন্দময়। মন্দিরে উপাসিত ভগবানের শ্রীবিগ্রহ যেমন কাঠ অথবা পাথর নয় , তেমনই ভগবদ্ভক্তের দেহ জড় নয়। প্রকৃতপক্ষে , ভগবানের শ্রীবিগ্রহ পরমেশ্বর ভগবান স্বয়ং, সে সম্বন্ধে কোন সন্দেহ নেই।

রাধেশ্যাম
২০ জুন ২০১৫

জড় কলুষিত ইন্দ্রিয়ের দ্বারা কেউ শ্রীকৃষ্ণের নাম, রুপ, গুণ, লীলার দিব্য প্রকৃতি উপলব্ধি করতে পারে না। ভগবানের সেবা করার মাধ্যমে যখন দিব্য চেতনার উন্মেষ হয়, তখন ভগবানের অপ্রাকৃত নাম, রুপ ত্ত লীলার চিন্ময় সরুপ তার কাছে অনুভূত হয়।

রাধেশ্যাম
১৬ জুন ২০১৫

পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিবিধ শক্তি সম্পন্ন নিত্য অদ্বয়তত্ত্ব। কেউ যখন শ্রীকৃষ্ণের মায়া শক্তির দ্বারা আচ্ছন্ন থাকার ফলে শ্রীকৃষ্ণকে জানতে পারে না , তখন সে বুঝতে পারে না তার পক্ষে কি ভাল এবং কি মন্দ । ভাল ত্ত মন্দের ধারণা মনোধর্ম অথবা কলপনা । কেউ যখন ভুলে যায় যে সে শ্রীকৃষ্ণের নিত্য দাস , তখন সে বিভিন্ন পরিকলপনা দ্বারা জড় জগতকে ভোগ করতে চায় । তখন সে তার পরিকলপনা অনুসারে বিচার করে কোনটি ভাল এবং কোনটি মন্দ । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই সমস্ত ধারণা ভ্রান্ত।

রাধেশ্যাম

Friday, 17 July 2015

১৫ জুন ২০১৫

ভারত ভূমিতে জন্ম গ্রহণ করার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, সেখানে জন্ম গ্রহণ করার ফলে আপনা থেকেই ভগবদ্ভক্তি লাভ হয়। ভারতবর্ষের সর্বত্র , বিশেষ করে তীর্থস্থান গুলিতে , সাধারণ অশিক্ষিত মানুষত্ত কৃষ্ণভাবনাময় , এবং কৃষ্ণভক্তকে দর্শন করা মাত্র তারা তাকে প্রণতি নিবেদন করে। ভারতবর্ষে গঙ্গা , যমুন্ , নর্মদা , কাবেরী এবং কৃষ্ণা প্রমুখ বহু পবিত্র নদি রয়েছে , এবং সেই সমস্ত নদীতে স্নান করার ফলে মানুষ জড় জগতের বন্ধন মুক্ত হয়ে কৃষ্ণভক্তি লাভ করে।

রাধেশ্যাম
১৪ জুন ২০১৫

নীচ জাতি কৃষ্ণ ভজনের অযোগ্য নয়, আবার সত কুলোদ্ভুত ব্রাহ্মণত্ত ভজনের যোগ্য নয়। যিনি শ্রীকৃষ্ণের ভজনা করেন, তিনিই মহান, আর যারা অভক্ত তারা অধ:পতিত এবং ঘৃণ্য। তাই কৃষ্ণ ভজনে জাতি, কুল ইত্যাদির কোন বিচার নেই। হে ভগবান যাদের মুখে আপনার নাম বর্তমান তারা চন্ডাল কুলে জন্ম গ্রহন করলেত্ত সর্বশ্রেষ্ঠ। অাপনার নাম যারা কীর্তন করেন তারাই সমস্ত প্রকার তপস্যা করেছেন, তারাই বেদ অধ্যায়ন করেছেন। সুতরাং তারাই আর্য বলে পরিগনিত।

রাধেশ্যাম
১২ জুন ২০১৫

সেই ভক্ত ধন্য , যিনি তা্র প্রভুর চরণাশ্রয় পরিত্যাগ করেন না , এবং সেই প্রভু ধন্য যিনি তার নিজজনকে পরিত্যাগ করতে পারেন না।
দৈবক্রমে সেবক যদি অন্য কোথাত্ত চলে যায় , তাহলে যে প্রভু তার চুল ধরে তাকে ফিরিয়ে আনেন , তিনি ধন্য।

গুরু বৈষ্ণব পদরজ পার্থী 
প্রদীপ কৃষ্ণ দাস


রাধেশ্যাম
১০ জুন ২০১৫

জীবনের শুরু থেতকই কৃষ্ণ ভাবনা অনুশীলন করা উচিত। জীবনের শেষে সার্থকতা অর্জন করতে হলে শ্রীকৃষ্ণের স্মরণ অপরিহার্য। সেই জন্য শ্রীকৃষ্ণকে মনে রাখতে হলে সর্বক্ষন অবিরাম ভাবে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্ত্তন করতে হবে।

রাধেশ্যাম
৮ জুন ২০১৫

ব্রজ রাজ কুমারী শ্রীমতি রাধারাণীজী গোবিন্দ কে বলছেন ----
প্রভু কি আর বলিব আমি
জীবনে মরণে জনমে জনমে 
প্রাণনাথ হই ত্ত তুমি।
তোমার চরণে আমার ত্ত পরানে, লাগিল প্রেমের ফাসি
সব ত্যাগিয়া একমন হইয়া, আমি হইনু তোমারত্ত দাসী।
একুলে ত্তকুলে দুকুলে গোকুলে বল আমি আপন বলিব কায়।
বড় শীতল জানিয়া সরণ লইনু তোমাত্ত দুটি কোমল পায়্।
বধু আর কি ছাড়িয়া দিব, এ বুক চিরিয়া যেখানে পরাণ সেখানে তোমারে থুবো।
ত্ত চাদ বদন সদা নিরখিব
সুখ না চাহিব আর বহুদিন পরে বধু আয়লে ,
দেখানা হইত পড়ান গেলে।
দু:খিনীর দিন দুখেত গেল।
বলো মথুরা নগরে তুমি ছিলে তো ভাল।
আপন দু:খ কিছুনা গনি, তোমার কুশলে কুশল মানি।
আজ কোকিলা আসিয়া করুক গান ,
ভোমরা করুক তাহার তান।
আজ গগনে উদয় হক চন্দ্র মলয় পবন বহুক মন্দ।
বজ্ররাজ কুমার শ্রীমতি রাধারাণীকে বলছেন -------
চাহ মুখ তুলি রাই, চাহ মুখ তুলি।
তোমার নয়ান নাচনে নাচে আমর হিয়ার ত্ত পুতুলি।
পীত পিন্ধন মোর তুয়া অভিলাসে।
পরাণ চমকে যদি ছাড়হ নি:শ্বাসে ।
লেহ লেহ লেহ রাই স্বাধের মুরলি।
পরশিতে চাহি তোমার চরণের ধুলি।
এতধনে ধনী যেই সে কেনে কীপণ।
জ্ঞান দাস কহে কেবা বুঝিবে মরম।।

রাধেশ্যাম
৫ জুন ২০১৫

মনুষ্য-শরীর প্রাপ্ত হয়ে জড় ইন্দ্রিয় সুখ ভোগ কারার জন্য অকান্ত পরিশ্রম করার কোন প্রয়োজন নেই। বিষ্ঠাহারী শূকরেরা এই সুখ লাভ করে থাকে। বরং, এই জীবনে তোমাদের তপশ্চর্যার অনুশীলন করা উচিত, যার প্রভাবে তোমরা শুদ্ধ হবে, পবিত্র হবে এবং তার ফলে অনন্ত চিন্ময় আনন্দ লাভ করবে। তাই, যথার্থ যোগী ইিন্দ্রিয় সুখের প্রতি আকৃষ্ট হন না, যা হচ্ছে অপ্রতিহত ভবরোগের কারণ। জীবের ভোগাসক্তি যত বেশে হয়, ততই তে জাগতিক ক্লেশের বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

রাধেশ্যাম
৪ জুন ২০১৫

যিনি যথার্থ বুদ্ধিমত্তা সহকারে মানব জন্মের সদ্ব ব্যবহার করে জীবনের সমস্ত সমস্যান সমাধান করেন। তিনি হচ্ছে ব্রাহ্মন।

রাধেশ্যাম
৪ জুন ২০১৫

জ্ঞান শূন্য ত্ত ভক্তি শূন্য হত্তয়ার ফলে পরবর্তী জীবনে অবশ্যই স্থাবর যোনিতেই জন্ম নিতে হবে। পাহাড়, পর্বত, গাছপালা প্রভৃতি হচ্ছে স্থাবর জীব।

রাধেশ্যাম
৪ জুন ২০১৫

কৃষ্ণ ভাবনাময় ভক্ত সর্বদাই নিভীক, কারণ তিনি নিশ্চিত ভাবে জানেন যে তার কার্যকলাপের ফলে তিনি তার প্রকৃত আলয় চিন্ময় জগতে ফিরে যাবেন। তাই তার ভবিষ্যত অতি উজ্জল।

রাধেশ্যাম
৩ জুন ২০১৫

যারা জানেন যে, শ্রীকৃষ্ণের দেহ চিন্ময় এবং তার ক্রিয়াকলাপ দিব্য, তারা মৃত্যুর পর ভগবত ধামে শ্রীকৃষ্ণের কাছে ফিরে যান এবং তাদের আর এই দু:খ ময় জড় জগতে ফিরে আসতে হয় না।
শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশ অনুসারে জীবন জাপন করাই শ্রেষ্ঠ পন্থা। শাস্ত্রে আর ত্ত বলা হয়েছে , এমন কেউ নেই যিনি শ্রীকৃষ্ণর প্রভু। সকলেই তার ভৃত্য। 
একলে ঈশ্বর কৃষ্ণ আর সব ভৃত্য।


রাধেশ্যাম
০১ জুন ২০১৫

যিনি শ্রদ্ধা সহকারে মদ গত চিত্তে আমার ভজনা করেন তিনিই সবচেয়ে অন্তরঙ্গ ভাবে আমার সংঙ্গে যুক্ত এবং তিনিই সমস্ত যোগিদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। পরমেশ্বর ভগবানের ভজনা না করে যে তার কর্তব্যে অবহেলা করে সে অবধারিত ভাবে ভ্রষ্ট হয়ে অধ : পতিত হয়।

রাধেশ্যাম
২৯ মে ২০১৫

কৃষ্ণনাম লত্ত জীব আর সব মিছে। পলায়বার পথ নাই , জম আছে পিছে।

রাধেশ্যাম
২৮ মে ২০১৫

সর্বতোভাবে শ্রীকৃষ্ণই হচ্ছেন পরাৎপর তত্ত্ব। যার মন, বুদ্ধি, নিষ্ঠা ও আশ্রয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণতেই নিত্য কেন্দ্রীভূত, অর্থাৎ যিনি পূর্ণরূপে শ্রীকৃষ্ণের শরণাগত, তিনি নি:সন্ধেহে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়ে পূর্ণ জ্ঞানে পরম সত্যকে উপলবদ্ধি করেন।

রাধেশ্যাম
২৫ মে ২০১৫

আমি যদিত্ত অপরাধী, দুষ্টমতি ত্ত অযোগ্য, তবুত্ত আমাকে দয়া কর। আমাকে তোমার দাসত্ব কিঞ্চিত প্রদান করে আমকে কৃতার্থ কর।

রাধেশ্যাম
১৮ মে ২০১৫

যে জানে যে সব কিছুই হচ্ছে ভগবানের সম্পতি, সে নিত্য বৈারাগ্য যু্ক্ত। যেহেতু সব কিছুই শ্রীকৃষ্ণের তাই সবই শ্রীকৃষ্ণের সেবায় নিয়োগ করতে হয়।

রাধেশ্যাম
১৬ মে ২০১৫

নিজের প্রকৃত সরুপ সম্বন্ধে যে মানুষ কোন অনুসন্ধান করেনা, তার জীরন ব্যার্থ বলেই মনে করতে সহবে।

রাধেশ্যাম
৭ মে ২০১৫

কৃষ্ণভাবনামৃত প্রচার করা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর ব্রত; তাই তার বিম্বস্ত ভক্তদের উচিত তার অভিলাষ মতো কাজ করা। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর ভক্তদের কর্তব্য জগতের প্রতিটি নগরে ত্ত গ্রামে কৃষ্ণ ভাবনামৃত বিতরণ করা। তাতে মহাপ্রভু প্রীতি লাভ করবেন। তার মানে এই নয় যে, কেউ তার নিজের তৃপ্তি সাধনের উদ্দেশ্যে খেয়াল-খুশি মতো কাজ করতে থাকবে। এই আদেশ আমরা গুরুপরম্পরার ধারায় পেয়েছি এবং গুরুদেব তার শিষ্যকে এই আদেশই দান করেন যাতে সে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর বাণী প্রচার করতে পারে। তাই প্রতিটি শিষ্যেরই কর্তব্য সদগুরুর নির্দেশ অনুযায়ী সারা পৃথিবী জুড়ে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বাণী প্রচার করা।

রাধেশ্যাম
৫ মে ২০১৫

সকলেরই পরম গতি হেচ্ছন শ্রীকৃষ্ণ। যারা শ্রীকৃষ্ণকে জানেনা , তারা নিশ্চিতরুপে পথভ্রষ্ট।


রাধেশ্যাম
৫ মে ২০১৫


মহাপ্রসাদ শুষ্কই হউক, পর্য্যুষিতই হউক, দূরদেশ হতে আনাই হোক, প্রাপ্তমাত্রেই ভোজন করবে, এতে কোনরুপ কালবিচার নাই।


রাধেশ্যাম
১ লা মে ২০১৫

হরেকৃষ্ণ আন্দোলন সবসময়ই তরূণদের দ্বারা তারুণ্যে ভরপুর এক অক্ষয় সনাতন আন্দোলন এবং ভবিষ্যতের তরুণ প্রজন্ম একে আরো সম্প্রসারিত করবে, প্রতিটি যুগে এই আন্দোলনের বিজয় পতাকা উড্ডীন রাখবে তরূণরাই- এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। 

রাধেশ্যাম