Monday, 17 August 2015

১৫ আগষ্ট ২০১৫

যদি কোন ব্যক্তি ভক্তি সহকারে শ্রীহরির আরাধনা করেন, তবে সেই ব্যক্তির তীর্থভ্রমণ, তপস্যার প্রয়োজন নেই। ভারতবর্ষে কৃষ্ণ মন্ত্র-উপাসক জীবন্মুক্ত ব্যক্তির পক্ষে তপস্যার প্রয়োজন হয় না। হে নারদ, শ্রীকৃষ্ণনামমন্ত্র গ্রহণ মাত্রই তাঁর বংশের শত পুরুষ ও বন্ধুবান্ধবেরাও অনায়াসে পবিত্র হয়। শ্রীকৃষ্ণসেবা পরায়ণ ব্যক্তিদের তপস্যার পবিশ্রম অনাবশ্যক। হে পুত্র, শ্রীকৃষ্ণমন্ত্রে ব্রতী ব্যক্তিই মহাপবিত্র।

রাধেশ্যাম
১৪ আগষ্ট ২০১৫

যমরাজ বললেন- দ্বাদশ মহাজন প্রকৃত ধর্মের তত্ত্ব জানেন। প্রকৃত ধর্ম ভাগবত-ধর্ম বা ভগবৎ প্রেম ধর্ম নামে পরিচিত। তা অত্যন্ত গোপন তত্ত্ব যা সাধারণ মানুষের দূর্বোধ্য। কিন্তু ‍কেউ যদি ভাগ্যক্রমে তা হৃদয়ঙ্গম করতে পারে তবে সে সচ্চিদানন্দময় জীবন লাভ কররে।

রাধেশ্যাম
১১ আগষ্ট ২০১৫

চিত্র গুপ্ত পুত্যেকের পাপকর্মের কথা বলতে থাকেন। মাঝে মাঝে পাপীরা অভিযোগ করে - “আমি এত পাপ করেছি কি করে বলছেন?” তখন যমরাজের আহ্বানে সূর্য, চন্দ্র, বায়ু, আকাশ, পৃথিবী, জল, তিথি, দিবা, রাত্রি, ঊষা, সন্ধ্যা, ধর্ম - ইত্যাদি বহু সাক্ষী এসে পাপীদের পাপ কর্মের কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

রাধেশ্যাম
১০ আগষ্ট ২০১৫

যিনি তুলসীকে প্রত্যহ দর্শন করেন তার সকল পাপরাশি বিদুরিত হয়ে যায়, ‍যিনি তাঁকে স্পর্শ করেন তার পাপমলিন দেহ পবিত্র হয়, তাঁকে প্রণাম করলে সমস্ত রোগ দূর হয়, তাঁকে জল সিঞ্চন করলে যমও তার কাছে আসতে ভয় পান। শ্রীহরিচরণে তুলসী অর্পিত হলে ভগবদ্ভক্তি লাভ হয়। তাই হে কৃষ্ণভক্তি প্রদায়িনী তোমায় প্রণাম করি।
যে ব্যক্তি হরিবাসরে ভগবানের সামনে দীপদান করেন চিত্রগুপ্তও তাঁর পুণ্যের সংখ্যা হিসার কতে পারে না। তার পিতৃপুরুষেরাও পরম তৃপ্তি লাভ করেন।

রাধেশ্যাম
০৮ আগষ্ট ২০১৫

১০ আগষ্ট , ২৪ শ্রাবণ , সোমবার শ্রীশ্রী কামিকা একাদশীর উপবাস।
পারণ পূর্বাহ ০৫.৩২ মিঃ হতে ০৯.৫৩ মিঃ পর্যন্ত।
কামিকা একাদশী সম্পর্কে কিছু কথাঃ- ভগবান শ্রীহরির পূজা-অর্চনা অপরিমিত পূর্ণ ফল প্রদান করে। এরকম পবিত্র পাপনাশক শ্রেষ্ঠ ব্রত আর জগতে নেই। শ্রীহরি স্বয়ং এই মাহাত্ম্য কীর্তন করেছেন। রাত্রি জাগরণ করে য়ারা এই ব্রত পালন কারেন তারা কখনত্ত দুঃখ-দুর্দশাগ্রস্ত হন না। এই ব্রত পালনকারী কখনও নিম্নযোনি প্রাপ্ত হন না।
কেশবপ্রিয়া তুলসীপত্রে যিনি শ্রীহরির পূজা করেন পদ্মপাতায় জলের মতো তিনি পাপে নির্লিপ্ত থাকেন। তুলসীপত্র দিয়ে বিষ্ণুপূজায় ভগবান যেমন সন্তুষ্ট হন, মণিমুক্তাদি মূল্যবান রত্ন মাধ্যমেও তেমন প্রীত হন না। ‍যিনি কেশবকে তুলসীমঞ্জরী দিয়ে পূজা করেন তার জন্মার্জিত সমস্ত পাপক্ষয় হয়ে যায়।

রাধেশ্যাম
৪ আগষ্ট

কেউ যদি আত্ন উপলব্ধির বিকাশ সাধনে যথার্থ বুদ্ধিমান হন এবং ভক্তি যোগ সাধনে ঐকান্তিক আগ্রহী হন তা হলে ভগবান তাকে সুযোগ প্রদান করেন। যার ফলে তিনি তাঁর কাছে ফিরে যেতে পারেন।

রাধেশ্যাম
৩ আগষ্ট ২০১৫

একটি সোনার আংটিতে যখন হীরে বসানো হয় তখন সেটি দেখতে অতি সুন্দর লাগে। একত্রিত হবার ফলে সোনা ও হীরে উভয়েরই শোভা বর্ধিত হয়। ভগবান ও জীব নিত্যকাল প্রভাযুক্ত। জীব যখন ভগবৎ সেবায় উন্মুখ হয়, তখন সে সোনার মত উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ভগবান হচ্ছেন হীরে এবং তাই এই দুইয়ের সমন্বয় অত্যন্ত সুন্দর। শুদ্ধ অন্তকরন বিশিষ্ঠ জীবকে বলা হয় ভক্ত। পরমেশ্বর ভগবানও আবার তাঁর ভক্তের ভক্ত হয়ে যান।

রাধেশ্যাম
২ আগষ্ট ২০১৫

মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত ভগবানের শ্রীমূর্তি হচ্ছেন ভগবানের অনুমোদিত প্রতিনিধি, যাঁকে বলা হয় অর্চাবিগ্রহ। এই অর্চাবিগ্রহ হচ্ছেন ভগবানের অবতার। ভগবান সেই রূপের মাধ্যমে সেবা গ্রহন করেন। ভগবান সর্ব শক্তিমান, তাই তিনি তার অর্চাবিগ্রহ রূপ অবতারের মাধ্যমে তার ভক্তের সেবা গ্রহন করতে পারেন। জড় জগতের বন্ধনে অবদ্ধ মানুষেদের সুবিধার জন্য তিনি এই বন্দোবস্ত করে রেখেছেন।

রাধেশ্যাম
১ আগষ্ট ২০১৫

জীবের স্বরূপ হয়- কৃষ্ণের নিত্যদাস। তাই কৃষ্ণভবনায় ভবিত হয়ে ভগবানের সেবা করাই প্রতিটি জীবের পরম কর্তব্য। সমগ্র ভগবদ্ গীতায় ভগবান আমাদের এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষাই দান করেছেন।

রাধেশ্যাম
৩০ জুলাই

ব্রহ্মান্ডে বিভিন্ন গ্রহে অসংথ্য জীব ভ্রমন করে বেড়াচ্ছে। তাদের মধ্যে কোন ভাগ্যবান জীব শ্রদ্ধ ভক্তের সংস্পর্শে আশার ফলে ভগবদ্ভক্তির নিগূঢ় রেহস্যের কথা অবগত হতে সক্ষম হন। এই ভগবদ্ভক্তি ঠিক একটি বীজের মতো এবং তা যদি জীবের হৃদয়ে বপন করা হয় এবং হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে এই মহামন্ত্র শ্রবণ ও কীর্তনরুপ জল সিঞ্চন করা হয় তা হলে সেই বীজ অঙ্কুরিত হয়।

রাধশ্যাম
২৯ জুলাই ২০১৫

অসৎ কর্মে লিপ্ত মানুষেরা কখনই ভক্ত হতে পারে না। যে । ভগবানের ভক্ত নয়, তার কোনই সদ্ গুন নেই। প্রশ্ন হতে পারে যে, তা হলে স্বেচ্ছায় অথবা দুর্ঘটনা ক্রমে পাপকর্মে প্রবৃতি মানুষ কিভাবে শুদ্ধ ভক্ত হতে পারে? যে দুষ্কৃতকারী সর্বদাই ভগতদ্ভতি থেকে বিমুখ থাকে তার কোনই সদ্ গুন নেই। নবধা ভক্তি আচরণকারী ভক্ত সমস্ত জাগতিক কলুষ থেকে হৃদয়কে নির্মল করতে প্রবৃ্ত্ত থাকেন।

রাধেশ্যাম
২৮ জুলাই ২০১৫

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছে বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সমস্ত গ্রহলোকের মহেশ্বর এবং তা সকলের জানা উচিত। সৃষ্টির পূর্বে ও তিনি ছিলেন এবং তিনি তাঁর সৃষ্টি থেকে ভিন্নি। দেব-দেবীরা সকলেই এই জড় জগতে সৃষ্ট হয়েছেন, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ এই সমস্ত সৃষ্টির উর্দ্ধে।

রাধেশ্যাম
২৭ জুলাই ২০১৫

একাদশীতে উপবাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। তবে কেবল অনাহারে উপবাস করাটাই মূখ্য উদ্দেশ্য নয়, মূখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে গোবিন্দ বা শ্রীকৃষ্ণের প্রতি অধিক শ্রাদ্ধা ও প্রেমপরায়ণ হওয়া।

রাধেশ্যাম