Saturday, 17 October 2015

১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সমস্ত জীবের ধর্ম-অধর্মের বিচারক যমরাজ। তিনি সূর্যদেবের পুত্র। তিনি নরলোকের অধিপতি। পৃথিবী থেকে ৭ লক্ষ ৯২ হাজার মাইল নিচে নরক নামক গ্রহলোক অবস্হিত। নরক গ্রহের সংযমনী নামক যমপুরী রয়েছে। যমরাজের প্রধান হিসাবরক্ষকের নাম চিত্রগুপ্ত। মাত্র কয়েক মিনিটের মাধ্যেই যমরাজের দূতেরা পৃথিবীতে ত্যক্তদেহ পাপাত্মাদের যমপুরীতে টেনে নিয়ে যা্য়।

রাধেশ্যাম
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

যিনি সুদৃঢ় বিশ্বাসে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধাবান, তিনিই কেবল কৃষ্ণভাবনামৃতের এই জ্ঞান লাভ করতে পারেন। শ্রদ্ধাবান তাঁকেই বলা হয় যিনি বিশ্বাস করেন যে, কৃষ্ণভক্তি সাধন করলে সমস্ত কর্ম সুসম্পন্ন হয়। ভগবদভক্তি সাধন করলে জীবনের পরমার্থ সাধিত হয়। সুদৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে ভগবানের সেবা সম্পাদনে এবং হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে / হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে - এই মহামন্ত্র কীর্তন করার ফলে অন্তর সব রকমের জড় কলুষ থেকে মুক্ত হয় এবং তখন হৃদয়ে এই শ্রদ্ধার উদয় হয়।

রাধেশ্যাম
৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ , বুধবার শ্রীশ্রী অন্নদাএকাদশীর উপবাস।
পারণ পূর্বাহ ০৫.৪২ মিঃ হতে ০৬.০৭ মিঃ পর্যন্ত।
অন্নদা একাদশী সম্পর্কে কিছু কথাঃ- 
ভাদ্রের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশীকে বলা হয় ‘অন্নদা’। এই তিথি সর্বপাপ বিনাশিনী । যিনি শ্রীহরির অর্চনে এই ব্রত পালন করেন, তিনি সর্বপাপ মুক্ত হন। এমনকি এই ব্রতের নাম শ্রবনেই রাশি রাশি পাপ বিদূরিত হয়ে যায়।

রাধেশ্যাম
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মহাজন উপদেশঃ-
শ্রী নারদ মুনি বললেন, শুকদেব গোস্বামীকে
হে বৎস, পূর্বকালে মহর্ষিগণ শ্রীসনৎকুমারের কাছে তত্ত্বকথা জিজ্ঞাসা করাতে তিনি বলেছিলেন, দুর্লভ মনুষ্য জন্ম লাভ করে কারও সঙ্গে শত্রুতা আচরণ করা বিধেয় নয়। যাঁরা অনাসক্তভাবে বিষয় ভোগ করেন, তাঁরাই অচিরে শ্রেয়ো লাভে সমর্থ হন। যাঁকে আশ্রয় করলে কি ইহলোকে, কি পরোলোকে কোথাও শোক বা ভয়ের লেশমাত্র থাকে না, সেই শ্রীহরির পাদপদ্ম আশ্রয় করো। এই জড়জগতে যাদের লোভ নেই, তাদের শোকও নেই।

রাধেশ্যাম
৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

শ্রীকৃষ্ণের শুভ আর্বিভার তিথি উপলক্ষে সকল গৌর ভক্ত বৃন্দের প্রতি আমার শুভেচ্ছা রইল।
মহাজন উপদেশঃ-
শ্রী শিব বললেন, হে নারদ তুমি প্রকৃতির অতীত রাধানাথ শ্রীকৃষ্ণকে ভজনা করো। জগতে যে ব্যক্তি শ্রীকৃষ্ণভক্তি অনুশীলন শিক্ষা না দিয়ে অন্য পথ প্রদর্শন করেন, তিনি কখনই গুরু নন। তাঁকে পারমার্থিক গুরুরুপে কখনই গ্রহণ করা উচিত নয়, অধিকন্ত্ত তাঁকে মহা শত্রু বলে মনে করা কর্তব্য ।

রাধেশ্যাম
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মহাজন উপদেশঃ-
শ্রীশিব বললেন, হে নারদ, ‍পূর্বে কৃষ্ণের আলয় গোলকে বিরজাতীরে ক্ষীরের মতো অমল জলে আমি শ্রীকৃষ্ণ মন্ত্র জপ করেছি। নিত্য আমি কৃষ্ণমন্ত্র জপ করি। পার্বতী, কার্তিক, গণেশ সবসময়ই কৃষ্ণনাম কীর্তন করে থাকে। হে নারদ, লোকে দুর্দিনের অভিজ্ঞতার কথা বলে ও স্মরণ করে।মেঘে আচ্ছন্ন অন্ধকার দিনকে আমি দুর্দিন বলি না। যেইদিন কৃষ্ণকথা হয় না, আমি সেই দিনকে দুর্দিন বলে থাকি।

রাধেশ্যাম
৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মহাজন উপদেশঃ-
যার বুদ্ধি পূর্বজন্মকৃত কর্মদোষে মন্দ হয়েছে এবং অনুপযুক্ত ব্যক্তিকে গুরুরুপে গ্রহণ করেছে, তারা তমোগুণের অধীন হয়ে থাকে। তার ফলে তারা ত্রিগুণের অতীত ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে জানতে পারে না, এমনকি জানতেও আগ্রহ থাকে না। সংসারের সেই সব লোক তাই কৃষ্ণভজন করবে না।


রাধেশ্যাম
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

কলিযুগে মানুষ ধর্মের অমৃত বা্ক্য ভুলে গিয়ে আজ পরিত্রাণহীন অন্ধকারের দিকে ধেয়ে চলেছে। অর্থবিত্ত আর লোভের তুচ্ছ মোহে আবদ্ধ হয়ে মানুষ সত্য সুন্দর পথ খুঁজে পাচ্ছে না। এই দুঃখ মমতাকে অতিক্রম করে পরিত্রাণ পেতে হলে আমাদেরকে প্রেমময় রাধা-গোবিন্দের পূন্য পথের দিকে যাত্রা করতে হবে।

রাধেশ্যাম
২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

শ্রীকৃষ্ণ ভক্তির ধন প্রেমের সম্পদ।
তাঁহারে ভজিলে আর না থাকে বিপদ।।
শ্রীকৃষ্ণ আনন্দ ধন হৃদয়ের বাণী।
যে জনা ভজয়ে কৃষ্ণ সে জন ধনী।।
শ্রীকৃষ্ণ যেথায় আছে সেথায় মন ধায়।
ত্রিবিদ সংসার চলে কৃষ্ণ কৃপায়।।
শ্রীকৃষ্ণ পরম শ্রেষ্ঠ গৌরবের ধন।
শ্রীকৃষ্ণ হৃদয় বৃত্ত সাধের সাধন।।
শ্রীকৃষ্ণ প্রেমের সিন্ধু তরঙ্গ বিশাল।
শ্রীকৃষ্ণ জগৎ জীবের আশ্রয় সবার।।

রাধেশ্যাম
১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মহাজন উপদেশঃ-
কলিযুগ হচ্ছে এক দোষের সমুদ্র, তবুও, একটি মহান গুণ আছে। তা হচ্ছে এই যে, শুধুমাত্র শ্রীকৃষ্ণ নাম সংকীর্তন করে মানুষ জড় দুঃখময় বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে পরম ভগবদ্ ধামে উন্নীত হবে। সত্যযগে শ্রীবিষ্ণুর ধ্যান করে, ত্রেতাযুগে যজ্ঞ অনুষ্ঠান করে, দ্বাপর যুগে ভগবদ্ বিগ্রহ অর্চনা করে যে ফল লাভ হয়, কলিযুগে শুধুমাত্র শ্রীহরির নামকীর্তন করেই সেই সমস্ত ফল লাভ হয়ে থাকে।
হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ কৃষ্ণকৃষ্ণ হরেহরে ।
হরেরাম হরেরাম রামরাম হরেহেরে।।


রাধেশ্যাম
৩১ আগষ্ট ২০১৫

মহাজন উপদেশঃ-
মৃত্যুপথযাত্রী ভয়গ্রস্ত মানুষ বিছানায় পড়ে থাকে, সেই সমযেও যদি সে ভগবান শ্রীহরির পবিত্র নাম উচ্চারণ করে, তা হলেও সকাম কর্মের বন্ধন মুক্ত হয়ে সে পরমগতি লাভ করতে পারে, কিন্তু তা সত্ত্বেও কলিযুগের অধঃপতিত মানুষ হরিনামকীর্তন করবে না। শ্রীহরির স্মরণ করবে না। কেউ যদি শ্রী কৃষ্ণ কথা শ্রবণ করে, কীর্তন করে, স্মরণ করে, শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করে, শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে, তা হলে তার সহস্র জন্মের অর্জিত কলুষ বিনষ্ট হয়ে যায়।


রাধেশ্যাম
৩০ আগষ্ট ২০১৫

ব্রজ রাজকুমার ( ৫২৪১ তম শুভ আর্বিভাব )
নন্দীশ্বর যাঁর ধাম যশোদা নন্দন নাম ।
আর্বিভূত হইলেন প্রভু কৃষ্ণ ভগবান ।।
সাধুর রক্ষার্থে দুষ্টের বিনাশে ।
যুগে, যুগে আসেন প্রভু এ ধরাধামে ।।
যশোদা নয়ন মনি নন্দ রাজ কুমার ।
ব্রজ বাসীর প্রণনাথ কৃষ্ণ গোপাল ।।
অনন্ত ব্রহ্মান্ড পতি হে আদিদেব ।
তব শ্রীচরণে মোর প্রণতি অনেক ।।
সকল জীবের প্রভু তুমি পরম সত্য ।
অভয় চরণ স্মরণে হয় মহা ভাগ্য ।।
তাই বলি প্রভু এবার কৃপা কর মোরে ।
নিজ জন করে রাখেএ দাসেরে ।।

রাধেশ্যাম
২৮ আগষ্ট ২০১৫

শ্রী নারদমুনির উক্তিঃ-
মানুষ আসক্ত ও মোহগ্র্স্ত হয়ে স্নেহ জালে বদ্ধ হয়ে লাভ করছে দুঃখকষ্ট। ন্ত্রী, পারিবার, শরীর, সঞ্চিত ধন সম্পত্তি- কিছুিই পরলোকে তার সহগামী হয় না। কেবলমাত্র সহচর হয়ে থাকে পুণ্য ও পাপ। অর্থাৎ তোমার কর্মফল।
অতএব হে শুকদেব, মনুষ্য জীবনে দৈনন্দিন কর্মসমূহ এমনভাবে সম্পাদিত হওয়া কর্তব্য যাতে কর্মফলাবদ্ধ অনর্থ লাভ না হয়ে পনমার্থ লাভ হয়।

রাধেশ্যাম
২৭ আগষ্ট ২০১৫

জ্ঞান আহরণ করবার শ্রেষ্ঠ উপায় শ্রবণ, তাই প্রকৃত ব্রক্ষচারী সর্বক্ষণ হরের্নামানুকীর্তনম্ অর্থাৎ, ভগবানের মহিমা শ্রবণ ও কীর্তনে তন্ময় হয়ে থাকেন। তিনি কখনও লৌকিক আলোচনা বা গ্রাম্য কথা শ্রবণ করেন না। জড় জগতের যে শব্দ, সেই শব্দ মনকে জড় বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখে- মনকে জড় অভিমুখী করে তোলে। তাই ব্রক্ষচারী কখনও সেই রকম শব্দে কর্ণপাত না করে সর্বক্ষণ ভগবানের দিব্যনাম শ্রবণ ও কীর্তন করেন-
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।

রাধেশ্যাম
২৬ আগষ্ট ২০১৫

যাঁরা প্রকৃতই জ্ঞানী, যাঁরা ভগবানের ভক্ত, তাঁরা ভগবানকে তুষ্ট করার জন্য তাঁদের সব কিছুই ভগবানের শ্রী চরণে অর্পণ করেন।

রাধেশ্যাম
২৫ আগষ্ট ২০১৫

৮ ভাদ্র , বুধবার শ্রীশ্রী পবিত্রারোপণী একাদশীর উপবাস।
পারণ পূর্বাহ ০৫.৩৮ মিঃ হতে ০৯.৫২ মিঃ পর্যন্ত।
পবিত্ররোপণীএকাদশী সম্পর্কে কিছু কথাঃ- 
পিবিত্ররোপণী একাদশী ব্রত পালনে পারব্ধ পাপ দূর হয় এবং এই ব্রত পালনে অভিষ্ট ফল প্রদান করে। আপনারা যথাবিধি তা সকলে পালন করুন।

রাধশ্যাম
২০ আগষ্ট ২০১৫

ব্রহ্মা বললেন, যদি কোনও ব্যক্তি ভক্তি সহকারে শ্রীহরির আরাধনা করেন, তবে সেই ব্যাক্তির তীর্থ ভ্রমণ, তপস্যার প্রয়োজন নেই। ভতরবর্ষে কৃষ্ণমন্ত্র-উপাসক জীবন্মুক্ত ব্যক্তির পক্ষে তপস্যার প্রয়োজন হয় না। হে নারদ, শ্রীকৃষ্ণনামমন্ত্র গ্রহণ মাত্রেই তাঁর বংশের শত পুরুষ ও বন্ধুবান্ধবেরাও অনায়াসে পবিত্র হয়। শ্রীকৃষ্ণসেবা থেকে অন্য কোন ধর্ম বড় নয়, অন্য কোন তপস্যা শ্রেয় নয়।

রাধেশ্যাম
১৯ আগষ্ট ২০১৫

যে ব্যক্তি প্রতিদিন শ্রীকৃষ্ণ পূজা করে এবং শ্রীকৃষ্ণচরণামৃত ও মহাপ্রসাদ গ্রহণ করে, সেই মহা পবিত্র। হে নারদ, কৃষ্ণভক্ত যে বংশে জন্মগ্রহণ করে সেই বংশ পবিত্র হয়। জগতে যে ব্যক্তি কৃষ্ণভজনা করে না, তার তপস্যা, তার কর্মপ্রচেষ্টা তার পরিশ্রম বৃথা।

রাধেশ্যাম
১৮ আগষ্ট ২০১৫

“মানুষ মারা গেলে তার এই জগতের সমস্ত সম্পদ তাকে পারিত্যাগ করে। অতএব যে যে সম্পদ মৃত্যুতে হারিয়ে যাবে, সেই সেই সম্পদ শ্রীহরির প্রসন্নবিধানের উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা উচিত।”

রাধেশ্যাম